চট্টগ্রামের সময় ডেস্ক ;
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন গ্রামের মর্তুজিয়া চিশতিয়া রশিদিয়া জমিরিয়া তরিকার দরবারের আধ্যাত্মিক জ্ঞান সাধক হযরত দেওয়ান মোহাম্মদ জমির উল্লাহ চিশতী (র:) মাজার শরীফ ও হেফজখানা, এতিমখানা নিয়ে পায়তারা ও অপপ্রচার করে যাচ্ছেন একটি কুচক্রী মহল।
ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় মো: সিরাজ উল্লাহ এর জন্ম পরিচয় নিয়ে, কিন্তু বিষয়টি মিথ্যে ও বানোয়াট বলে দাবি করে জানান, হযরত দেওয়ান মো: জমির উল্লাহ চিশতী (র:) ‘র ধর্মীয় পুত্র তাহার সাধনা জীবনের খেদমতে ৪৯ বছর নিয়োজিত মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ ।
মোহাম্মদ সিরাজ, পিতা- কালা মিয়া, মাতা- মরহুমা ইসলাম খাতুন, সিরাজের জন্মস্থান-২নং ওয়ার্ড,৫ নং ইউনিয়ন বরুমছড়া,আনোয়ারা, চট্টগ্রাম। সিরাজের ৬ বছর বয়সে বাবা-মা ইন্তেকাল করেন। সিরাজের যখন ৯ বছর বয়সে বড় ভাইয়েরা হযরত শাহ সুফি আলী রজা প্রকাশ-কানু শাহ (রহ:)র এতিমখানায় ভর্তি করিয়ে দেন, পড়া-লেখা চলাকালীন অবস্থায় কানু শাহ (রহ:)র আওলাদ শাহ সুফি রশিদ আহমদ (রহ:)’র স্নেহ, মায়া, মমতায়, ভালোবাসায় আপনত্ব লাভ করেন।
এমতাবস্থায় মোহাম্মদ সালাম, পিতা -মোঃ শফি, ব্যক্তি শাহ সুফি রশিদ আহমদ (রহ:) খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
ওনার দীর্ঘদিনের খেদমতে থাকা অবস্থায় সন্তুষ্ট হয়ে হযরত রশিদ আহমদ (রহ:)’র ওরশজাত সন্তান না থাকায়, মুহাম্মদ সালামের মাতা/পিতার অনুমতিক্রমে মোহাম্মদ সালামকে জমির উল্লাহ পিতা – রশিদ আহমদ (রহ:) এর নামে নামকরন করেন।
শাহ সুফি রশিদ আহমদ (রহ:) জীবিত থাকা অবস্থায় ১৯৮৩ সালে হযরত জমির উল্লাহ কে বাশঁখালী রহমপুর (প্রকাশ) দলতলী পাহাড়ে রেওয়াজত করার জন্য নির্দেশ দেন এবং তাহার সাথে সিরাজকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন, সিরাজ ঐপাহাড়ে দেওয়ান মো: জমির উল্লাহ চিশতীর সাধনা খালীন সময়ে তাহার সেবায়যত্নে ও খেদমতকালীীন অবস্থায় সন্তুষ্ট হয়ে ১৯৮৮ সালে মো: সিরাজ উল্লাহ কে খেলাফত প্রদান করেন।
সেই সাথে তাহার নাম দেন মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ চিশতী, তার ধর্মীয় পিতা – দেওয়ান মোঃ জমির উল্লাহ চিশতী (রহ;) লেখার জন্য নির্দেশ দেয়।
দলতলী পাহাড়ে জমির উল্লাহ চিশতীর তার ধর্মীয়পুত্র সিরাজ উল্লাহ কে বলেন , আমার নামে মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানা করে দেখা শোনার জন্য মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ কে ওয়াদাবদ্ধ করিয়া গেলাম।
দীর্ঘ ১২ বছর রেয়াজত বা ধ্যান সাধনার পর অসুস্থ হলে পীরের আধ্যাত্মিক নির্দেশে বারখাইন গ্রামে আসেন তার কিছুদিন পর ২৮ মার্চ১৯৯২ সালে, দেওয়ান মোহাম্মদ জমির উল্লাহ চিশতী ইন্তেকাল করেন, আমি তাহার খেলাফত প্রাপ্ত ও ধর্মীয়পুত্র হিসেবে তাহার যাবতীয় দাফন /কাফন ও মাজার শরীফ নির্মাণ সহ জেয়ারতের উপযুক্ত করি।
দেওয়ান মোহাম্মদ জমির উল্লাহ চিশতী (রহ;) পীর ভাই মোঃ শফি, চট্টগ্রাম শহরের মোহরা, চাঁন্দগাও থানা এলাকার বাসিন্দা, তাহার ক্রয়কৃত সম্পত্তির ১গন্ডা,১কড়া,দেড় দন্ত,জমি পীর ভাই দেওয়ান মো: জমির উল্লাহ চিশতী (রহ:) নামে ওকফানামা করিয়ে দেয়।
এমনকি নাছির গং এর পিতা মোঃ শফি,সিরাজ উল্লাহর সকল দায়িত্ব ও মাজারের রক্ষণাবেক্ষণার উপর সন্তুষ্ট হয়ে ১৩ মে ১৯৯৩ সালে ১(এক) গন্ডা জমিও দান করেন।
কিন্তু মাজারের দীর্ঘ ৩২ বৎসর যাবত দেখাশোনা করছি দেওয়ান মো: জমির উল্লাহ চিশতী (রহ;)ও কানু শাহ (রহ;) ও রশিদ শাহ ( রহ;) এর মুরিদগনের।
ভক্ত আশেকানরা নিয়মিত জিয়ারতে আসেন এবং প্রতিবছর ওরশ শরীফ হয় নিয়মিত, উক্ত মাজারে নাম-জশ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে, মোহাম্মদ নাসির, হাশেম, জালাল বৈদ্য সহ একটি মহল লোভের পড়িয়ে যায়।
বিগত ২০২০ সালে ওরস শরীফের ১লাখ ৫০ হাজার টাকার মহিষ হাশেম উদ্দিন নামক ব্যক্তি চুরি করিয়া নিয়ে যায়, চুরি করে নিয়ে গেলে দেওয়ান মো: জমির উল্লাহ চিশতী (রহ:)’র মুরিদ ও ভক্তরা ঐ ব্যাক্তি কে দাওয়া করে উক্ত মহিষ উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে তাহার বড় ভাই মোঃ নাছির কে বিচার দিলে রাগণ্বিত হয়ে, তাহার ভাই জালাল বৈদ্য ও তাহার ভাগিনা ফরিদ ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে গালিগালাজ করে মারধর করতে আসেন এবং নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করিয়ে দেয়।
নাসির উদ্দিন গং এর পক্ষে হুমকি দিয়ে বলেন, আগামীতে কি ভাবে ওরস ও মাজার নির্মাণ কাজ করবি দেখিয়ে ছাড়বো, অনলাইন ও বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার সহ চুরি করার ঘটনা কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হয়রানি মূলক মামলা, মোকাদ্দমা দেয়
এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত ঐ কুচক্রী মহল নাছির গং এর পক্ষ থেকে।
মো: সিরাজ উল্লাহ চিশতী জানান,ইতিমধ্যে দূর -দূরান্ত থেকে মাজার শরীফে ভক্ত- আশেকানরা আসলে তাদের জেয়ারত করিলে মাজার শরীফ থেকে বের করে দিচ্ছেন নাছির গং এর লোকেরা, আমি এমতাবস্থায় মাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রায় শতাধিক কোরআন শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।