কৃষি ডেস্কঃ
বাসায় নিয়ে কাটার পর যদি দেখা যায় তরমুজ পানসে, তবে মুখও বিস্বাদ হয়ে যায়। তরমুজের ভেতরটা কতটা রসালো বোঝার জন্য কিছু কৌশল জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের ‘লাইন কুক’ ফিবি ফ্রাই এবং পোর্টল্যান্ডের পুষ্টিবিদ ক্রিস্টি দেল কোরো।
তারা জানিয়েছেন, জমিতে পাকা তরমুজ বেশি রসালো আর লাল হয়। পূর্ণতা পাওয়ার আগেই ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে ফেললে এর মিষ্টিভাব কমে যায়। তরমুজ মাটিতে থাকতেই পেকেছে নাকি আগেই তুলে ফেলা হওয়ছে সেটা বোঝার উপায়ও রয়েছে।
ডোরা ডোরা দাগের দিকে লক্ষ করা : তরমুজের খোসার উপরের অংশের রং দেখে আন্দাজ করা যায় কতটা রসালো। সবুজ ডোরা দাগের অংশটা হবে গাঢ় আর মলিন ডোরা দাগের অংশটা হবে হালকা হলুদাভ। এছাড়া বেছে নিতে হবে নিষ্প্রভ অনু্জ্জ্বল তরমুজ। যে তরমুজ যত বেশি চকচক করবে সেটা ততটাই কাঁচা হবে।
তরমুজে জমির দাগ : তরমুজের যে দিকটা মাটির দিকে থাকে সেদিকে বিবর্ণ দাগের সৃষ্টি হয়; যাকে বলে ‘ফিল্ড স্পট’। এই দাগ খুঁজে বের করে রংটা খেয়াল করতে হবে। যদি বিবর্ণ রং হয় ক্রিমের মতো হলুদ বা প্রায় কমলার কাছাকাছি, তাহলে বুঝতে হবে জমিতেই তরমুজটা যথেষ্ট সময় নিয়ে পেকেছে। ফলে সেটা মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সাদাটে দাগ হলে পানসে হবে।
ডগা খেয়াল করা : তরমুজের ডগা বা বোটার অংশ যদি শুকনা হলুদাভ–গাঢ় বাদামি রঙের হয় তবে বুঝতে হবে সেটা জমিতে থাকতেই সঠিক পূর্ণতা পেয়েছে। তাই রসালোও হবে। ডগার রং সবুজাভ হলে সেই তরমুজ পানসে হবে।
টোকা দিয়ে দেখা : তরমুজের ওপর টোকা দিলে যদি ফাঁপা শব্দ হয় তবে বুঝতে হবে ভেতরটা রসে পরিপূর্ণ; যা কিনা পাকলেই সম্ভব। যদি কয়েকবার টোকা দেওয়ার পরও ভরাট শব্দ অনুভূত হয় তবে বুঝতে হবে ভেতরটা এখনও পাকেনি।
অন্যান্য দাগ খেয়াল করা : তরমুজের উপর সবুজ ডোরা দাগ ছাড়াও যদি কালচে বা মাটি রঙের শিরা–উপশিরা বা জালের মতো দাগ দেখা যায় তবে সেটা অতিরিক্ত মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তরমুজের চিনি খোসা দিয়ে বের হয়ে আসার কারণে এরকম হয়। তারপরও অন্যান্য বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে।
ভারী তরমুজ বাছাই করা : বাজারে গিয়ে তরমুজ দিয়ে কিছুক্ষণ ব্যায়ামও করে নিতে পারেন। যে তরমুজটা দেখার চেয়ে হাতে ধরে ওঠানো–নামানো করলে তুলনামূলক বেশি ভারী লাগবে, সেটাতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ারই কথা। যার অর্থ রসালো তরমুজ ধরে আছেন আপনি।
গোলাকার আকৃতি দেখে নেওয়া : ডিম্বাকৃতি নয়, তরমুজ যতটা সম্ভব গোলাকৃতি দেখে কিনতে হবে। ডিম্বাকৃতি তরমুজের ভেতরটা রসালো হলেও স্বাদে পানসে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পাশাপাশি খোসার উপরিভাগ যত মসৃণ হয় তত ভালো।
মৌসুমের ফল মৌসুমে কেনা : গ্রীষ্মকালের ফল হলেও তরমুজের মৌসুম মে থেকে সেপ্টেম্বর। তাই মৌসুমের ফল সেই মৌসুমে কিনলে যথেষ্ট মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।