চট্টগ্রামের সময়ঃ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে নির্বাচন কমিশন সরে আসলেও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় আছে বিএনপি। এ বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচনে জনগণ বা বিএনপি যাবে না।
তিনি বলেন, ভোট ইভিএমে হল না ব্যালটে হল এটা নিয়ে জনগণের কোনো মাথাব্যথা নেই। আগামী নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। তারা ( ক্ষমতাসীন সরকার) আবার একতরফা নির্বাচন করতে চায়, কিন্তু এ দেশের জনগণ তাদের এই সুযোগ দিবে না । গতকাল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য মীর হেলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. তারিকুল আলম তেনজিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
আমীর খসরু আরো বলেন, সাংবাদিকদের কাজ হচ্ছে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করা, আর সঠিক সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে সরকার সাংবাদিকদের মামলা দিচ্ছে, গ্রেফতার করছে একটা ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। সাংবাদিকদের সাহসিকতা দেখাতে হবে।
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, এই সরকার স্বেচ্ছায় ক্ষমতা থেকে বিদায় নিবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে কষ্টের মধ্যে রয়েছে। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই হবে।
তাই বিএনপির আন্দোলনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। তাই একদফার আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং তারেক রহমানকে বীরের বেশে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এস এম ফজলুল হক বলেন, অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবাইকে যোগদান করতে হবে।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, রমজানের পরে এই সরকারের পতনের জন্য এক দফার আন্দোলন শুরু হবে। ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, এই সরকারকে পরাজয় স্বীকার করে বিদায় নিতে হবেই।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, আব্দুল আজিজ, ডা. খুরশিদ জামিল, ডা. জসিম উদ্দিন, অ্যাড মফিজুল হক ভূঁইয়া, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব ছালাহউদ্দিন, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরোয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, জেলা কমিটির সদস্য কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, অ্যাড আবু তাহের, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী।