চট্টগ্রামঃ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরীর অসহায়, ছিন্নমূল, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, হোটেল–রেস্টুরেন্ট বয়, বাস্তুহারা, শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার অসহায় ৭০০ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
প্রতি প্যাকেট ঈদ উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৭ কেজি চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ, ২ লিটার সয়াবিন তেল, সেমাই ২ প্যাকেট ও ছোলা।
এ উপলক্ষে গতকাল দুপুর ২টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মো. মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব চক্রবর্তীসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি ও মানবিক চট্টলা, তৃণমূল সামাজিক সংস্থা’র স্বেচ্ছাসেবকরা উপহার সামগ্রী বিতরণ কাজে সহযোগিতা করেন।
এসময় বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রতিবছর রমজানে সরকারি বেসরকারি ঊর্ধতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সম্মানে জেলা প্রশাসন ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়।
এ বছর ইফতার পার্টির আয়োজন না করে বরং ইফতার পার্টির জন্য বরাদ্দকৃত টাকায় বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার অসহায়দের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
সমাজের অসহায় মানুষকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, পবিত্র রমজানে প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইফতার পার্টির আয়োজন করছে। এসকল ইফতার পার্টির পরিবেশিত খাবারের সিংহভাগ অপচয় হচ্ছে এবং আয়োজনের পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এসব জমকালো আয়োজন পরিহার করে এই অর্থ অসহায় ও হত দরিদ্রদর মাঝে বিতরণের মনোভাব তৈরি করতে হবে।
মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন, ইফতার পার্টির পরিবর্তে সমাজের গরীব–দুঃখীদের সাহায্য–সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের বিত্তবানদের রমজানসহ সারা বছর এ ধরণের কল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসা উচিত।