চট্টগ্রামের সময় ডেস্কঃ
মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন এবং জয়দেবপুর–ঈশ্বরদী ডাবল ডুয়েল গেজ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে ১২৭ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান। জাপান সরকারের পক্ষ থেকে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা) বাংলাদেশ সরকারকে এই ঋণ দেবে।
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। ১০ বছরের রেয়াতকালসহ ১.২ শতাংশ সুদে ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
গতকাল বুধবার জাপান সরকার, জাইকা এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এই সংক্রান্ত ঋণ ও মুদ্রা বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ঢাকার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয় বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারে পক্ষে ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ‘এক্সচেঞ্জ অব নোট’ সই করেন। ঋণ চুক্তিতে শরিফা খানের সঙ্গে সই করেন জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে।
এর আগে ৪৩তম ঋণ প্যাকেজের আওতায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ১২৩ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এবার ১২৭ কোটিসহ ৪৩তম ঋণ প্যাকেজের আওতায় জাপান বাংলাদেশকে মোট ২৫০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই ঋণের মধ্যে ‘মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ এর জন্য যোগান দেওয়া হবে ৮১ কোটি ১০ লাখ ডলার।
২০২০ সালের মার্চ মাসে একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ (প্রকল্প সাহায্য) ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। জাইকার ঋণ থেকে ‘ঢাকা–চট্টগ্রামে মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে’ দেওয়া হবে ৪২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে যানজটমুক্ত ও বাধাহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সড়কের পাঁচটি স্থানে বাইপাস সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পটিয়া, চন্দনাইশের দোহাজারী, সাতকানিয়ার কেরানীহাট, লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ও চকরিয়া।
এরমধ্যে কেরানীহাট এলাকায় বাইপাসের পরিবর্তে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। জাইকার ঋণ থেকে জয়দেবপুর–ঈশ্বরদী রুটে ৩ কোটি ২৫ লাখ ডলার যোগান দেওয়া হবে।