অনলাইন সময় ডেস্কঃ
কয়েক দশকেও সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গড়ে না ওঠায় চট্টগ্রাম নগরীতে গণপরিবহনের অভাব ও যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না নগরবাসী।
নগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, যানজট নিরসন এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা প্রণয়নে গত ২৭ বছরে নেওয়া হয়েছে তিনটি পরিকল্পনা। কিন্তু সেসব শুধু রয়েছে কাগজে কলমেই।
নগরীর প্রায় প্রতিটি মোড়েই অফিস ছুটির সময় গণপরিবহনের অভাবে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। ফলে সড়কে অতিরিক্ত চাপ বাড়ে। রাস্তায় গাড়ির সংকট প্রকট আকার ধারণ করে।
নগরের মুরাদপুর, নতুনব্রীজ, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, লালখান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পরিবহন সংকটে মোড়ে মোড়ে কারখানা ও অফিস ফেরত যাত্রীদের ঢল নেমেছে।
নগরীর মুরাদপুর এলাকার দোকানী কফিল উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। গাড়ি পেতে যুদ্ধ করতে হয়। এরপর যানজট তো আছে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটের একাধিক যাত্রী জানান, অফিস–আদালত, ব্যবসা–বাণিজ্য ও চাকরির সুবাদে পটিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বাঁশখালী উপজেলার হাজার হাজার লোক নগরীতে আসা–যাওয়া করেন।
এজন্য শাহ আমানত সেতুর বশিরুজ্জামান চত্বরে হাজারো যাত্রী গন্তব্যে যেতে জড়ো হন। এ সুযোগে বাসচালক–সহকারীরা ভাড়া দ্বিগুণ–তিনগুণ করে দেন।
নগরীর টাইগার পাস এলাকায় বাসের জন্য প্রায় তিনঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছিলেন সন্তোষ ধর। বিরক্ত সন্তোষ বলেন, বাস পাচ্ছি না। টেঙিতে উঠতে চাইলাম, ভাড়া চাচ্ছে ২০০ টাকা। অন্যসময় ৮০–১০০ টাকা দিয়ে যেতাম।
আগ্রাবাদ থেকে জিইসি এলাকায় যাবেন বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আবদুল আউয়াল। তিনি বলেন, এক ঘণ্টা ধরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু কোন গাড়ি পাচ্ছি না।