চট্টগ্রামের সময় ডেস্কঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তারা (আওয়ামী লীগ) সাধারণভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না, এটা পরিষ্কার। কারণ তারা জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সারা দেশে তাদের জামানত খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে, পাশাপাশি তাদের সকল অপকর্মের বিচার হবে।
তিনি বলেন, আজকে তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করে দেশের প্রত্যেকটি এলাকায় বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন–পীড়ন চালাচ্ছে। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আমীর খসরু।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি দেশ টিকে থাকে, গণতন্ত্র টিকে থাকে, দল টিকে থাকে তাহলে পদ–পদবি পাওয়া যাবে, কিন্তু যদি দেশে গণতন্ত্র টিকে না থাকে তাহলে পদবি দিয়ে কী হবে? আমীর খসরু বলেন, আজকে দেশে একনায়কতন্ত্রের সময় বিরোধী জোটের বা দলের যেসব নেতা নির্বাচিত হচ্ছেন, তাদের সাথে জনগণের একটি আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। আজকে এই ক্রিটিকাল মুহূর্তে আন্দোলন সংগ্রামে তাদের এগিয়ে এসে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত অদক্ষ ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের বাইরেও দেশের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
এগুলো রোধ করার জন্য সরকার নানারকম অপপ্রচার চালিয়ে দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার গুজব ছড়ানোর ওস্তাদ। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য তাদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে। এটা আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি।
আমীর খসরু আরও বলেন, গণমাধ্যমকে কুক্ষিগত করতে তাদের (সরকারের) পক্ষে কথা বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। পক্ষান্তরে সত্য কথা বললে দেশ ও জনগণের কথা বললে গণমাধ্যমকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা জনগণ ও গণমাধ্যমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। আজকেও আমরা দেখতে পেয়েছি বিএনপি বিভিন্ন এলাকায় সাংগঠনিক সভা–সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি কি কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন? আমরা কি কোনো সাংগঠনিক কার্যকলাপ করতে পারবো না? জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, এহসানুল হক মিলন, খলিলুর রহমান, বাবুল আহমেদসহ আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।