চট্টগ্রামের সময় ডেস্কঃ
নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি আর কোনো ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এবং সংলাপ দুই দিক থেকে নাকচ হওয়ায় আগামী নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তার আগে সংলাপ নাকচ করে দিয়েছি। এতে অবশ্যই অবশ্যই এবং আগামী নির্বাচন শুধু অনিশ্চিত নয়, আওয়ামী লীগ দায়ী হবে আগামী নির্বাচনে যদি আরও খারাপ কিছু ঘটে। আমরা আর ছাড় দেব না। এদেশের মানুষের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
তিনি বলেন, আমি আবেগ দিয়ে কথাগুলো বলি, এই আবেগটা আমার অন্তর থেকে আসে। আমি এই দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। উই আর সাফার লট।
তিনি বলেন, গত আগস্ট মাস থেকে ১৭টা মানুষ তাদের প্রাণ দিয়ে দিয়েছে। তাদের পরিবারগুলো অসহায় অবস্থায় আছে। কেন? ভাই আমাকে ভোটটা দিতে দাও। একটাই মাত্র দাবি, ভোটটা দিতে দাও। আমি আপনাদের সত্যি বলছি, আমি ২৫ বছর পাকিস্তানে বড় হয়েছি।
আবারও বলবে ওই কথা আমি জানি, কাদের সিদ্দিকীও বলবে যে, পাকিস্তানের কথা বলে। এই রকম ভয়াবহ চরম অবস্থা আমরা কখনও দেখিনি। ৭১–এ দেখেছি যুদ্ধের সময়। তার আগে আমরা দেখিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার কষ্ট হয় যে, এ রকম একজন বিশাল মানুষের কন্যা আমরা কেউ বলি না বলি এটা তো সত্য কথা, শেখ মুজিবুর রহমান নিঃসন্দেহে এই দেশের ওয়ান অফ দ্য গ্রেটেস্ট সান। তার মেয়ে আজকে গোটা জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তিনিও (শেখ মুজিবুর রহমান) দিয়েছেন বাকশাল তৈরি করে। আওয়ামী লীগের বডি কেমিস্ট্রিতে আছে, ওরা লুট করবে, ওরা ভোগ করবে, আর আমাদের পায়ের তলে পিষে মারবে।
প্রধানমন্ত্রী সংলাপ নাকচ করে দিয়েছেন, আপনারা কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরাও নাকচ করে দিয়েছি।
নির্বাচন কমিশন আপনাদের আলোচনার জন্য ডাকল, তখন আপনারা যাননি। এর জবাবে ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন কোন নির্বাচন কমিশন? যে নির্বাচন কমিশন কালকে বলেছে, অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে আসল কি আসল না এতে আমার কোনো দায় নেই। তাকে আমি নির্বাচন কমিশন বলব? তার কোনো দায় দায়িত্ব আছে বলব?
জনগণের কথা চিন্তা করেও তো আপনারা আলোচনায় আসতে পারেন। জবাবে তিনি বলেন, আমরা জনগণের কথা চিন্তা করি বলেই তো দাবিগুলো করছি। আমরা তো বলছি না বিএনপিকে এখনই ক্ষমতায় বসিয়ে দেন। আমরা বলছি নির্বাচনের একটা পরিবেশ তৈরি করো। একটা লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করো। আমরা যেন একটা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সমানভাবে, সমান অধিকার নিয়ে করতে পারে, সেই জিনিসটা চাচ্ছি।
উই ওয়ান্ট এ লেভেল প্লেইং ফিল্ড। আপনি একদিকে সমস্ত লোককে ধরে ধরে জেলে ঢোকাবেন, আপনি সভা–সমাবেশে আক্রমণ করবেন, মারবেন। শান্তি সমাবেশ করবেন। আর আমাকে মারতে মারতে ঢুকায়ে দেবেন। সেটা তো লেভেল প্লেইং ফিল্ড না।
নির্বাচনের পরিবেশটা কোথায়? বলেন একটা পরিবেশ তৈরি করেন। ম্যাডামকে ছাড়েন, মামলাগুলো সব প্রত্যাহার করেন। পরিবেশ তৈরি করেন তখন আমাকে বলবেন যে, এখন কেন আপনারা (নির্বাচনে) যাচ্ছেন না। তার আগে আপনারা এ কথাগুলো বলতে পারেন না।