চট্টগ্রামঃ
ভালোবাসা ভালোবাসে শুধুই তাকে, ভালোবেসে ভালোবাসা বেঁধে যে রাখে’– বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো গতকাল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসব উপলক্ষে জামালখান মোড়ে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন আয়োজিত ‘ভালোলাগায় ভালোবাসায় জামালখান’ আয়োজনকে সফল করে তুলেছিল উপচে পড়া উপস্থিতি।
বাঙালি যে উৎসবপ্রিয় আরও একবার তার প্রমাণ মিলেছে গতকাল জামালখান মোড়ে। সঙ্গীতের মূর্ছনায়, মিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে একাত্মতা প্রকাশ করে সাধারণ মানুষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে হবে মানুষের মাঝে। আমরা বলছি, বাংলাদেশ দেখবে জামালখান। জামালখানবাসীর উদ্দেশে বলছি, এই স্লোগানের ভালো–মন্দ দুটো দিক আছে। এমন কোন কাজ করা যাবে না যাতে জামালখানকে দেখে মানুষ বিব্রত হবে।
তিনি বলেন, আমরা (পুলিশ) সব সময় মানুষের বিশ্বাস অর্জনে কাজ করে চলেছি। আমি আমার সহকর্মীদের বলি, ঘরে তোমার স্ত্রী তোমায় কতোটা ভালোবাসে তা বিবেচ্য নয়, আমি দেখতে চাই বাইরের মানুষ তোমাকে কতোটা ভালোবাসে। নগরবাসীর আস্থা কতোটা অর্জন করতে পেরেছ। সাধারণ মানুষের কাছে যদি তুমি হিরো হও, তবে ঘরে তোমার স্ত্রীর কাছেও তুমি হিরো হয়ে থাকবে।
মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যেন অটুট থাকে– এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, ফুল ফুটুক আর না–ই ফুটুক আজ বসন্ত। ফুলের সৌরভ, পাখির কলকাকলি বসন্তকে রাঙিয়ে তুলছে। বসন্ত আর ভালোবাসা আজ একাকার হয়ে গেছে।
তবে নব্বই সালে শফিক রেহমানের লাল গোলাপের মধ্য দিয়ে এ দেশে ভালোবাসা দিবসের সূচনা। তার আগে যেমন পারস্পরিক ভালোবাসার বন্ধন অটুট ছিল, এখনো তা–ই আছে।
ভালোবাসাকে তাই শুধু একটি দিবসে সীমাবদ্ধ না রেখে আমি মনে করি প্রতিটি দিন প্রতিটি মানুষের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। ভালোবাসা প্রচারের বিষয় নয়, হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়। আর এখানে বারবার বলা হচ্ছে আমার একুশে পদক প্রাপ্তির কথা।
সংবাদ প্রচারের জন্য আমি একুশে পদক পেয়েছি। আজ তাই সেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, যাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা বাংলাতে কথা বলতে পারছি, ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারছি। কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন সব সময় আমাকে তার যেকোন আয়োজনে পাশে রাখে, ভালোবেসে। আগামীতেও তা–ই থাকবো।
কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন এরপর ভালোবাসার চিঠি লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের যুগে আমরা প্রিয়জনের কাছে চিঠি রিখতে ভুলে গেছি। অতীতের সেই অনুভূতি ফিরিয়ে আনার লক্ষে গত বছর থেকে এই দিনে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।