চট্টগ্রামের সময় ডেস্কঃ
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দিন আশরাফী বলেছেন, ‘চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভির (রাহ.) দর্শন ও গবেষণা জঙ্গিবাদ দমন করে শান্তিময় বিশ্ব গড়ার পাথেয়। মানবতার মুক্তির জন্য আমরণ কাজ করে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
ইসলামের মৌলিক বিষয়ের ওপর যখনই আঘাত এসেছে, তাৎক্ষণিক লেখনি ও বক্তব্যের মাধ্যমে বাতিলের ওপর কুঠারাঘাত করতে সময়ক্ষেপণ করেননি ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভি।’
আজ শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলা হযরত কনফারেন্সে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ইমামে আযম ও আলা হযরত গবেষণা পরিষদ আয়োজিত কনফারেন্সে জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান আলকাদেরীর সভাপতিত্বে একুশে পদকপ্রাপ্ত, পিএইচপির চেয়ারম্যান সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন। প্রধান অতিথি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দিন আশরাফী।
সংগঠনে আহ্বায়ক উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হকের উপস্থাপনায় আলোচনা করেন হাফেজ এহসান ইকবাল কাদেরী (শ্রীলঙ্কা), ড. মেহমদ কপিল (তুরস্ক), ড. সুজাত আলী কাদেরী (ভারত), মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মুহাম্মদ মুদাসসির আশরাফী (ভারত), ড. আফজাল হোসেন, ড. মাহবুবুর রহমান, ড. মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, মুফতি মাহমুদুল হাসান কাদেরী, মুফতি হাফেজ মুনিরুজ্জামান কাদেরী, পীর আবদুর রহিম আব্বাসী, পীরজাদা মোহাম্মদ আলী পেশোয়ারী, ড. মাসুম বাকি বিল্লাহ, অ্যাডভোকেট মাহবুব উল আলম আশরাফী, অধ্যাপক রিদওয়ান আশরাফী, মোহাম্মদ শাহ আলম, ড. মাওলানা হাফিজুর রহমান, ম ম ম জিলানী, মাওলানা ছোলাইমান খান রাব্বানী, আবদুল মালেক বুলবুল, ড. মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন, পীর মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আশেকী, মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, সাইফুদ্দীন আহমদ কাজী জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী আশরাফী, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ইসলাম উদ্দিন দুলাল, মাওলানা ইকরাম হুসাইন, পীরজাদা মাহবুব উল্লাহ হামিদী, অ্যাডভোকেট ইকবাল হাসান, মাওলানা নাজমুস সাদাত ফয়েজী, মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ আখঞ্জী, পীরজাদা এহসানুল হক বারী জিহাদী, অধ্যক্ষ আবুল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে ইসলাম শিক্ষা অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসলামের সঠিক শিক্ষা না থাকায় মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া ছেলে-মেয়েরা জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা নব্য ফেরকা এসব ধ্বংসের জন্য অনেকাংশে দায়ী। কঠিন এই সময়ে আলা হযরতের মতো মহামনীষীর পথ ও জীবন-কর্ম অনুসরণ জঙ্গিবাদের কবর রচনা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
আলা হযরত যেভাবে ইসলামের বাণী পৌঁছে দিয়ে সারা বিশ্বে মানবতার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, তা আমাদেরকেও অনুসরণ করতে হবে।’
কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নুরুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আল আজহারী, অধ্যক্ষ আবদুস সাত্তার, মোহাম্মদ ইকবাল, মোহাম্মদ আবুল কাশেম, মাওলানা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবু হানিফ, মোহাম্মদ হোসেন, অধ্যক্ষ ডা. এস এম সরওয়ার, মাওলানা তৌহিদুর রহমান, কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন সিদ্দীকি, অধ্যক্ষ আবু নাসের মুহাম্মদ মুসা, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান সরকার, মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন তুষার, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, কাজী মোবারক হোসাইন ফরায়েজী, মুফতি মাহমুদুর রহমান চিশতী, সৈয়দ মুহাম্মদ মাঈনুদ্দীন হেলাল, মুফতি শহীদুল্লাহ্ জিহাদী, অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা আনছারী, মুফতি ইয়াকুব হোসাইন আলকাদেরী, মাওলানা হাফেজ মুঈন উদ্দিন, মুহাম্মদ আওলাদ হোসেন, মোস্তাক আহমদ আশরাফী, মাওলানা ফরহাদুল ইসলাম বুলবুলি, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুঈন উদ্দিন আল কাদেরী, মারুফ বিল্লাহ আশেকী, মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক মামুনুর রশিদ, মুফতি ইদ্রিস হুসাইন, অধ্যক্ষ আহমদ আলী হেলালী, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সাইফ প্রমুখ।
মিলাদ-কিয়াম এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।