প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও সরকারের উপ-সচিব মো. বদিউল আলম বলেছেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঝড়ে পড়া রোধ, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিকরণ ও মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে যথেষ্ট আন্তরিক। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বর্তমানে শিক্ষার্থীরা আবারও পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় পূর্বের তুলনায় সাক্ষরতার হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার ’।
যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ও গণস্বাক্ষর অভিযানের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস ও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কৃত করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু রায়হান দোলন বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ থেকে নিরক্ষতা দূর করতে এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা দেন। বাংলাদেশকে উন্নয়নের প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর করে দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করা অতীব প্রয়োজন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক জুলফিকার আমিন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু রায়হান দোলনের সভাপতিত্বে ও দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মো. জুলফিকার আমিন।
বক্তব্য রাখেন মো. জয়নাল আবেদীন, রিটন কুমার বড়ুয়া, চন্দন কুমার বড়ুয়া, ইয়াসমিন পারভীন, মমতাজ আকতার, শাহেদা আক্তার, রিংকু কুমার শর্মা, উৎপল বড়ুয়া, জিনাত আরা বেগম, বাপ্পা চৌধুরী, থোয়াইনু মং মার্মা প্রমুখ।