আন্তর্জাতিক অনলাইন ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার ফ্লোরিডার বাড়ি থেকে জব্দ করা নথিপত্র নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত স্থগিতে এক বিচারকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। সোমবার করা এ সংক্রান্ত এক মামলায় ট্রাম্পের আইনজীবীরা মার-আ-লগো থেকে নেওয়া কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ এক আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ারও অনুরোধ করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ট্রাম্পের ওই বাড়ি থেকে ১১ সেট গোপনীয় নথি জব্দ করা হয় বলে পরে জানায় এফবিআই। গুপ্তচরবৃত্তি আইনের লংঘন হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই এফবিআই কর্মকর্তারা মার-আ-লগোতে ওই তল্লাশি চালিয়েছিলেন। এ আইন অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সম্ভাব্য বিপজ্জনক তথ্য নিজের কাছে রাখা বা হস্তান্তর অবৈধ।
নিয়ম অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের তাদের কাছে থাকা সব নথিপত্র ও ইমেইল ন্যাশনাল আর্কাইভ নামে পরিচিত সরকারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতে হয়।
কিন্তু গত বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব ছাড়ার সময় ট্রাম্প অতি গোপনীয় কোনো নথি হোয়াইট হাউস থেকে মার-আ-লগোতে নিয়ে ওই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছিলেন কিনা, এফবিআইয়ের তদন্তে এখন তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন, এফবিআই তার বাড়ি থেকে যেসব কাগজ জব্দ করেছে সেগুলো আগেই গোপনীয় নয় শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছিল বলেও দাবি তার।
ফ্লোরিডার আদালতে জমা দেওয়া ট্রাম্পের আইনি দলের ২৭ পৃষ্ঠার আবেদনে মার-আ-লগোতে আইন মন্ত্রণালয়ের তল্লাশিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিহিত করা হয়েছে। ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এই তল্লাশি, বলা হয়েছে সেখানে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো হচ্ছে সেই ঢাল যা মার্কিনিদের সুরক্ষা দেয়, একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে না, বলেছেন সাবেক প্রেসিডেন্টের আইনজীবীরা। পরে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানায, ট্রাম্পের মামলা বিষয়ে কৌঁসুলির অবগত এবং তারা আদালতেই এর মোকাবেলা করবেন।
সুনির্দিষ্ট কারণের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় একটি আদালত মার-আ-লগোতে তল্লাশির পরোয়ানায় অনুমোদন দিয়েছিল,বলেছেন মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র। সোমবার ট্রাম্পের মামলার দিনই নিউ ইয়র্ক টা্ইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের কাছ থেকে জব্দ হওয়া কাগজপত্রের মধ্যে তিনশটির বেশি কাগজপত্রকে তদন্ত কর্মকর্তারা গোপনীয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, এসব নথিপত্রের মধ্যে সিআইএ, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ও এফবিআইয়ের নথিপত্রও আছে।
ট্রাম্পের মামলাটি হয়েছে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচের আদালতে, যে বিচারকের কাছে আবেদন জমা পড়েছে, তাকে ট্রাম্পই ২০২০ সালে বিচারক মনোনীত করেছিলেন।