অর্থনীতি ডেস্কঃ
ট্রেডিং করপোরেশন অভ বাংলাদেশ(টিসিবি)-এর মাধ্যমে বিক্রির জন্য ১ কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার। সেই সঙ্গে কেনা হচ্ছে ৫ হাজার মেট্রিক টন মশুর ডাল।
ভর্তুকি মূল্যে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে বিক্রির লক্ষ্যে এই সয়াবিন তেল ও ডাল কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক।
গত বুধবার(১৭ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে তিন প্রস্তাবের বিপরীতে ২৭০ কোটি ৯৮ লাখ টাকায় এসব পণ্য কেনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়।
বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে আসা অতিরিক্ত সচিব বারিক জানান, উন্মুক্ত দরপত্রের পরিবর্তে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের সাত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এসব ভোগ্যপণ্য কেনা হবে।
এই সাত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সুপার অয়েল রিফাইনারি, বসুন্ধরা মাল্টি ফুডস প্রোডাক্ট, সিনহা এডিবল অয়েল ও শানশিং এডিবল অয়েল এবং এসিআই পিওর ফ্লাওয়ার, এমএস রায় ও নাদিম নাভা লিমিটেড।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে দেশের সাতটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সরকার এসব ভোগ্যপণ্য ক্রয় করবে।”
এগুলোর মধ্যে দু’টি প্রস্তাবে যথাক্রমে ১৭৩ টাকা ৯৫ পয়সা দরে সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে কেনা হবে ৪০ লাখ লিটার এবং ১৭১ টাকা দরে বসুন্ধরা মাল্টি ফুডস প্রোডাক্ট লিমিটেডের কাছ থেকে ৩৫ লাখ, সিনহা এডিবল অয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে ৩০ লাখ এবং শানশিং এডিবল অয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে কেনা হবে ২০ লাখ মেট্রিক টন তেল।
আরেকটি প্রস্তাবে ১১১ টাকা ১০ পয়সা দরে টিসিবি’র জন্য ৫ হাজার মেট্রিক টন ডাল কেনা হবে। এর মধ্যে এসিআই পিওর ফ্লাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে ৩ হাজার টন, এমএস রায় লিমিটেডের কাছে থেকে ১ হাজার টন এবং নাদিম নাভা লিমিটেডের কাছ থেকে কেনা হবে ১ হাজার টন ডাল।
আব্দুল বারিক জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই তিন প্রস্তাবসহ ১৬টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি যেখানে খরচ করা হবে ১ হাজার ৮৯৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, “এগুলোর মধ্যে টিসিবির জন্য তেল ও ডাল কেনার প্রস্তাব তিনটি টেবিল থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। বাকি ১৩ প্রস্তাব এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়া সভায় মিরপুর ৯ থেকে ১১ নম্বর সেকশনে ৮০ একর জমির ওপর ‘মিরপুর ইন্টিগ্রেটেড টাউনশিপ ডেভেলপমেন্ট পিপিপি’ প্রকল্পটি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নীতিগত অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।”
অতিরিক্ত সচিব বারিক জানান, ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ৭টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৪টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রস্তাব ছিল।