চট্টগ্রামঃ-
৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা নগরীতে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী যুব সমাবেশ ও র্যালি বের করেছে।
আজ ২৬ জুন রবিবার বিকেলে নগরীর লালখান বাজারস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশে বক্তারা বলেন, যুব তরুণরা আজ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়েছে। কোটি যুব তরুণ আজ দুঃসহ বেকারত্বে ধুঁকছে। চাকরি নেই, কর্মসং¯’ান নেই।
চারদিকে হাহাকার। যুব সমাজের আর্তনাদ ও মর্মবেদনার কথা কেউ শুনছে না। তাই, যুব সমাজকে চাকরি দিয়ে গভীর হতাশা ও অবক্ষয় থেকে বাঁচাতে হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের হাতছানি থেকে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে। ইসলামী যুবসেনাই হতে পারে যুব সমাজের আদর্শিক প্লাটফরম।
বক্তারা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে মহানবীর (দ.) অবমাননার তীব্র নিন্দা জানান এবং ধর্ম, ধর্মগ্রš’ ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননা রোধে জাতিসংঘ, ওআইসি ও আরবলীগকে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার এবং তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করার আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবসেনা সভাপতি আজিম উদ্দিন আহমেদ জনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান। উদ্বোধক ছিলেন অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়ব আলী।
প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা এম এ মতিন। স্বাগত বক্তব্য দেন সমাবেশ প্র¯‘তি কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সমাবেশ প্র¯‘তি কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন ও যুগ্ম সচিব এইচ এম শহীদ উল্লাহ। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দ মোজাফ্ফর আহমদ মোজাদ্দেদী।
বিশেষ বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম। সমাবেশে অতিথি ও আলোচক ছিলেন কাজী মাওলানা সোলায়মান চৌধুরী, মাওলানা হাফেজ সৈয়দ রুহুল আমিন, পীরে তরিকত আল্লামা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্, মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল করিম তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ নুর হোসেন, সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেন, মাওলানা ওবাইদুল মোস্তফা কদমরসুলী, মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম জিহাদী, অধ্যাপক মাওলানা মীর আব্দুর রহিম মুনিরী, মাওলানা ইয়াছিন হোসাইন হায়দরী, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, আলহাজ্ব মুহাম্মদ শাহ আলম, মুহাম্মদ আলী হোসাইন, অধ্যক্ষ মাওলানা ইলিয়াছ নুরী, অধ্যাপক অহিদুল আলম জাফর, মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রেজভি, মুহাম্মদ হারুন সওদাগর, মুহাম্মদ ফজলুল করিম তালুকদার, মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী, হাজী মুহাম্মদ রুবেল, মুহাম্মদ হাসান, ডা. এস.এম. সরওয়ার, মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মুহাম্মদ আবুল মনসুর, মাস্টার মুহাম্মদ ইসমাইল, এডভোকেট এডিএম আরুছুর রহমান, মীর মুহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ জাবের, মুহাম্মদ অহিদুল আলম, মুহাম্মদ এনামুল হক এনাম, মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মাওলানা এমদাদুল ইসলাম কাদেরী, মুহাম্মদ বদরুল হুদা তারেক, আলমগীর হোসেন মামুন, ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল জাবের, কে.এম. আজাদ রানা, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রসেনার সভাপতি মুহাম্মদ আলী আকবর, সভাপতি মুহাম্মদ নুরে রহমান রনি, মাওলানা মঈন উদ্দিন কাদেরী, মুহাম্মদ বেলাল রেজা কাদেরী প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি আল্লামা এম এ মান্নান বলেন, যুব সমাজের বিপথগামিতা দেখে আমরা চোখ বুজে থাকতে পারি না। তারা আজ গভীর হতাশা ও ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে নিদারুণ অনিশ্চয়তায় ভুগছে। তাই, যুব তরুণদেরকে অবিলম্বে কর্মসং¯’ানের ব্যব¯’া করতে হবে সরকারকে। যা সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও বটে।
উদ্বোধক অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ তৈয়ব আলী বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি ঘরের একজনকে চাকরি দেয়ার অঙ্গীকার করলেও তা বাস্তবে আমরা দেখছি না। আগে পেটে ভাত দিতে হবে। তারপরই মেগা প্রকল্প। মুষ্টিমেয় লোকের ভাগ্যোন্নয়ন নয়, সুষম উন্নয়নের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
প্রধান বক্তা এম এ মতিন বলেন, শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রবাজি ও হল-ক্যাম্পাস দখলের ঘৃণ্য ছাত্র রাজনীতি আর চলতে দেয়া যায় না। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একদলকেন্দ্রিক আধিপত্যের রাজনীতির বলয় থেকে মুক্ত করে সহাব¯’ান এবং সবার প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে। সভাপতির বক্তব্যে আজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন।
সুন্নিয়তই ইসলামের মৌল দর্শন। পার্থিব কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির জন্য সুন্নিয়তের আলোকে জীবনকে সাজাতে হবে। যুব, তরুণ-ছাত্র সমাজকে সুন্নিয়তের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখার উদ্যোগ নিয়ে যুবসেনা সময়ের দাবি পূরণে এগিয়ে আসছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সমাবেশ শেষে এক বিশাল র্যালি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি ও যুব সমাবেশে যুবসেনার হাজারো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।