চট্টগ্রামঃ
গত ৭ জুন, ভিকটিম মোঃ মহিউদ্দিন প্রঃ মইনুদ্দিন (৪২) ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার ইয়াছমিন আক্তার টিনার কাছ থেকে মোঃ ফয়সাল ইসলাম বাবু পলোগ্রাউন্ড মাঠের বাণিজ্য মেলায় কাপড়ের স্টল থেকে ৫০,০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করে অন্যথায় দোকানে ব্যবসা করতে দিবে না বলে হুমকি প্রদান করে। উক্ত ঘটনার জের ধরে ৯ জুন তারিখ সময় অনুমান রাত ৩.৫০ ঘটিকার সময় ঢাকা থেকে দোকানের জন্য আনা মালামাল নিয়ে ইয়াছমিন আক্তার টিনার বাসায় প্রবেশ করাকালে মোঃ ফয়সাল ইসলাম বাবু ফয়সাল রহমান বাবু (৩১), মোঃ সুমন মিয়া (২৯) ও মোঃ রুবেল (৩৪) গণ ভিকটিম মহিউদ্দিন প্রঃ মঈনুদ্দিন ও ইয়াছমিন আক্তার টিনার ভাই মোবারক হোসেন সজিব দ্বয়কে কোতোয়ালী থানাধীন কাজীর দেউড়ী ২ নং গলি মিনা হাউজের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর পেয়ে পুনরায় ৫০,০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করলে তারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
একপর্যায়ে ভিকটিমদের সাথে থাকা থ্রি-পিছ কাপড় তারা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মোঃ ফয়সাল ইসলাম বাবু ভিকটিম মোবারক হোসেন সজিব এর বাম পায়ে টিপ ছোরা দিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে ঘাই মেরে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে দেয়।
তখন মহিউদ্দিন প্রঃ মইনুদ্দিন তাদেরকে বাধা দিতে গেলে মোঃ ফয়সাল ইসলাম বাবু ছুরি দিয়ে তাকে দুই পায়ের উরুতে এবং বুকের বাম পাশে ঘাই মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।
ভিকটিমদ্বয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও তাদের আত্মীয়-স্বজন এসে তাদেরকে ভোর ০৪:২৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে ভিকটিম মোঃ মহিউদ্দিন কে পরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপর ভিকটিম মোবারক হোসেন সজিব চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মোঃ নেজাম উদ্দীন (৩৮) বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করে।
উক্ত ঘটনায় কোতোয়ালি থানা টিম অভিযানে নেমে তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্বস্থ সোর্সের সহায়তায় পলাতক আসামীদের অবস্থান নির্ণয় করে তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর ও কসবা থানা এলাকায় ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা করে।
সর্বশেষে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা থানাধীন সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে ১। মোঃ ফয়সাল ইসলাম বাবু ফয়সাল রহমান বাবু (৩১),২। মোঃ সুমন মিয়া (২৯) ও ৩। মোঃ রুবেল (৩৪) দেরকে গ্রেফতার করেন।
ধৃত ব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। মোঃ ফয়সাল ইসলাম বাবু ফয়সাল রহমান বাবুর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে কোতোয়ালী থানাধীন কাজীর দেউরী আউটার স্টেডিয়াম মাঠের উত্তর পার্শ্বের পূর্ব কোনায় রাস্তার গার্ড ওয়ালের সংলগ্ন মাঠে ময়লার স্তুপ হতে নৃশংস হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত টিপ ছোরা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।