চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
বিএনপি কথায় কথায় বলে আসছে, পুলিশ ছাড়া রাজপথে নেমে তাদের (বিএনপি) কর্মীদের সাথে মুখোমুখি হতে। আমিও বিএনপি-জামায়াতকে বলতে চাই, আসুন পুলিশ ছাড়াই আমরা (আওয়ামী লীগ) রাজপথে নামব। তখন খেলা হবে রাজপথে। সেই খেলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই জিতবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও কটুক্তির প্রতিবাদে আজ শনিবার(৪ জুন) বিকেলে চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে উপরোক্ত আহ্বান জানান।
চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক আরিফ মঈনুদ্দীন রাসেলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি জাফর আলম বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ করে আরো বলেন, “আপনাদের কি মনে নেই যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি নেত্রীর ডাকা সেই একটানা ৬৭ দিন অবরোধ চলাকালে চকরিয়ার রাজপথের অবস্থা।
সেইসময়ের কথা যদি আপনাদের মনে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগকে রাজপথে পুলিশ ছাড়াই নামার কথা কীভাবে বলেন। এরপরও যদি আপনারা রাজপথে খেলতে চান, তাহলে আসুন সেই খেলায় কে জিতে। আমরা আওয়ামী লীগের কর্মীরাও পুলিশ ছাড়াই রাজপথে নামব। অতএব আমি কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি করে দিতে চাই।
এই ধরনের আস্ফালন আপনারা আর করবেন না। এখন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা তো ভালোই আছেন। শান্তিতে ঘুমাতে পারেন বাড়িতে। ভালো আছেন, ভালো থাকুন। এরপরও যদি গায়ে পড়ে কোনো কিছু করার চেষ্টা করেন, অতীতের মতো রাজপথে আগুন-সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করার চেষ্টা করেন তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আপনাদের কী অবস্থা করে একমাত্র আল্লাহই জানেন।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও কটুক্তি করার বিষয়ে এমপি জাফর আলম বলেন, “বিএনপি-জামায়াত মনে করেছে, ছাত্রদলের কাউকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিলে, কটুক্তি করলে পরিস্থিতি কী হয় দেখা যাক। তবে আমি বলতে চাই এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত এবং ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই বাংলার মাটিতে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্রের রাজনীতি করারও নৈতিক কোনো অধিকার নেই।”
চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গা বিক্ষোভ পরবর্তী থানা রাস্তার মাথার সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লায়ন কমরুদ্দীন আহমদ, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টো, সাবেক ভাইস এস এম জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী সহ-সভাপতি সৈয়দ আলম কমিশনার ও মোকতার আহমদ, জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক সোলতান আহমদ, উপজেলার সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুজিবুর হক রতন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত ওসমান, প্রচার সম্পাদক আবু মুসা, পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতা লায়ন আলমগীর চৌধুরী, আহমদ রেজা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির, পৌর যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আমির হোসেন আমু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদুল ইসলাম রাসেল, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান হানু, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আজিজুল মান্নান, ফাঁসিয়াখালীর সভাপতি শাহাবুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার, ল্যারচরের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক খ ম বুলেট চেয়ারম্যান, হারবাং সভাপতি মিরানুল ইসলাম মিরান ও সাধারণ সম্পাদক হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ, বদরখালীর সাধারণ সম্পাদক এ কে ভুট্টো সিকদার, ঢেমুশিয়ার সভাপতি নাছির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব মোস্তফা লিমন, বমুবিলছড়ির সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক বদরু, বিএমচর ইউনিয়নের সভাপতি বদিউল আলম চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খোকন, চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান লিটন, ফরিদুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক শাহ্ আলম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বমু বিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মনজুরুল কাদের, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী, চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জামাল হোসেন চৌধুরী, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন, সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসাইন চৌধুরী, চিরিঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম সিআইপি, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক মামুন, পৌর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জয়নাল হাজারীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।