অনলাইন ডেস্কঃ
প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে ৫২ হাজার ৫০০ টন সরকারি গম নিয়ে গতকাল শনিবার (২১ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এসেছে ‘এমভি ভি স্টার’ নামের একটি জাহাজ।
উদ্ভিদ সংগনিরোধ সনদসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে আগামীকাল সোমবার থেকে এসব গম লাইটারেজ জাহাজে করে পতেঙ্গায় সরকারি খাদ্য বিভাগের সাইলো জেটিতে খালাস করা হতে পারে।
এর আগের সপ্তাহেও ৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে এসেছিল ‘ইমানুয়েল সি’ নামে আরেকটি জাহাজ।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবদুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “চলতি মাসে দু’টি সরকারি গমের জাহাজ এসেছে। দ্রুত এসব গম সারাদেশে খাদ্য বিভাগের গুদামে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পাইপ লাইনে আছে আরও দু’টি জাহাজ। সরকারি চ্যানেলে এসব গম বিক্রি বা বিতরণ করা হবে।”
সূত্র জানায়, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম ও চাহিদা বেড়ে যায়। ভারত থেকে রফতানিও বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় প্রতিবেশী দেশ বাদে ভারত গম রফতানি সীমিত করার ঘোষণা দিলে দেশের পাইকারি বাজারে গমের দাম বাড়ে যার প্রভাব পড়ে আটা, ময়দার দামে। এর প্রভাবে ভোক্তা পর্যায়ে বেড়ে যায় পাউরুটি, বিস্কুট, পরোটাসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম।
সূত্র জানায়, দেশে প্রতি বছর ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১১ লাখ টন গম উৎপাদন হয় দেশে। বাকিটা আমদানি করা হয়। চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ১০ মাসে ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার টন গম দেশে এসেছে।
চট্টগ্রাম চেম্বার অভ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “অন্যান্য বছরের চাহিদা মাথায় রেখে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে গম আমদানি হয়েছে। ভারত থেকে সরকারিভাবে গম আনতে বাধা নেই। ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “মধুমাসের মৌসুম হওয়ায় এখন দেশী আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, তরমুজ, কলা পাওয়া যাচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবে আটা, ময়দার চাহিদা নিম্নমুখী হবে। যে গমের মূল্য কয়েকদিন আগে মণপ্রতি ১,৫৫০-১,৬০০ টাকা ছিল তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১,৪০০ টাকায়।”