চট্টগ্রামের সময় ডেস্কঃ
নগরীর চাক্তাই ও রাজাখালী খাল থেকে ১২৬ অবৈধ দখলদারকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি মোহাম্মদ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি শেষে প্রশাসনকে উপরোক্ত ১২৬ অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদের আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আদালত চট্টগ্রাম মহানগরীর দুটি খাল থেকে ১২৬ দখলদারকে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন।
উচ্ছেদের আগে দখলদারদের নিজ খরচে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দুই সপ্তাহ সময় দেয়ার জন্যও আদালত প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর পানি নিষ্কাশনের অন্যতম প্রধান খাল হিসেবে বিবেচিত চাক্তাই ও রাজাখালী খাল নগরীর ঘনবসতিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা হয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিশেছে। আর প্রতিটি এলাকায় খাল অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে যুক্ত চাক্তাই ও রাজাখালী খালের প্রকৃত সীমানা চিহ্নিত করে খালের জায়গায় মাটি ভরাট, দখল উচ্ছেদ এবং নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ রিট করেছিল।
আদালত ২০১৬ সালের ৬ জুন খাল দুটি জরিপ করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দুটি খালে ১২৬ দখলদার চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দেয়। জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুষায়ী চাক্তাই খালে ৬৫ এবং রাজাখালী খালে ৬১ অবৈধ দখলদার রয়েছে।
গতকাল আদালত দুইটি খালের উক্ত ১২৬ দখলদারকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ প্রদান করেন।
গতকালের শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ অনুসারে খাল ভরাট নিষিদ্ধ। কিন্তু প্রশাসনের চোখের সামনে খালের জায়গা দখল করে পানির প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
এতে চট্টগ্রামে লাখ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন। জরিপ অনুযায়ী, খালের দখলদারদের উচ্ছেদে আদালতের নির্দেশনা চান তিনি।
গতকাল মামলা পরিচালনায় বাদীপক্ষে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঞা, রিপন বাড়ৈ ও সঞ্চয় মণ্ডল। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) শেখ সাইফুজ্জামান। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম এ হান্নান।