চট্টগ্রামের সময় ডেস্কঃ
নগরীর আলোচিত সিআরবির জোড়া খুন মামলায় চার্জশীটভুক্ত ৬৪ আসামির মধ্যে ৬৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। অমিত মুহুরী নামের এক আসামি মৃত্যুবরণ করায় তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়নি।
এ সময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপুসহ এজহারভুক্ত ৫৪ জন আসামি।
গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিন শুনানি শেষে বিচার শুরুর এ আদেশ দেন। মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চার্জের জন্য দিন ধার্য ছিল। সে হিসেবে চার্জগঠন হয়েছে। আগামী ২৫ মে থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ আরম্ভ হবে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এ ঘটনায় ৬২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সে সময় আসামি পক্ষের নারাজী আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ আড়াই বছর পর পিবিআই নতুন করে দুজনকে যুক্ত করে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে মহানগর হাকিম আদালতে সম্পূরক চার্জশির্ট দাখিল করে। সম্পূরক চার্জশিটে অভিযুক্ত ৬৪ আসামি হলেন, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবর ও তার গ্রুপের যুবলীগ নেতা রিটু দাশ, প্রেমাশীষ মুৎসুদ্দী, অজিত বোস, মোহন তাঁতী, খোকন চন্দ্র তাঁতী, অমিত মুহুরী, অজিত দাশ, চান মিয়া, রাজু, রাকেশ, সুমন, টিটু দাশ, লাবলু ঘোষ, টিপু, আসলাম, ছোটন বড়ূয়া, সুমন চৌধুরী, শিবু দাশ চৌধুরী, শিমুল প্রসাদ পিন্টু, ফারুক, জসিম, মনির মিয়া, আনু মিয়া, ইউসুফ, জাহিদ, জহির, ফরিদ ও মনির।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমন ও তার গ্রুপের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু, ছাত্রলীগ নেতা অমিত চক্রবর্তী শশি, মোহাম্মদ টিপু, ওসমান গণি দুলু, মনোয়ারুল আলম চৌধুরী, জাহেদ, আমিন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শরীফ আহমেদ, আমির হোসেন আমু, রায়হান আহমদ, কামরুল হাসান, নজরুল ইসলাম, রানা আহমেদ, মনিরুজ্জামান দিনার, হাসমত আলী রাসেল, সুজয়মান বড়ুয়া, জমির উদ্দিন, আবু জাফর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, রাজু মুন্সী, ফয়সাল আহমেদ, মিজানুর রহমান, জাফর, পিয়াল আইচ, তারেকুর রহমান, ইলিয়াছ, জাবেদ হোসেন, রুবেল চন্দ্র দাশ, নাজমুল হাসান, আশরাফুল হোসেন, মিলন, আশরাফুল আলম, রবিউল ইসলাম জিলানী, কিয়াস কুমার দাশ ও বিশ্বজিত দাশ।
রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের কোটি টাকার দরপত্রের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জুন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবর এবং ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম ওরফে লিমনের অনুসারীদের মধ্যে চট্টগ্রামের সিআরবি (রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর) এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।এতে গুলিতে প্রাণ হারান যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও শিশু মোহাম্মদ আরমান (৮)।
এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদি হয়ে হয়ে বাবর-লিমনসহ ৮৭ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।