চকরিয়া পৌরশহরে গত ৩ জানুয়ারি ব্যবসায়ী লতিফ উল্লাহ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। এই হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবর রহমান দৈনিক আজাদীকে জানান, গ্রেপ্তার মিজানুর রহমানের কাছ থেকে পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর আদালতকে অবহিত করা হয়।
এর পর পুলিশ তাকে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়
এ সময় জবানবন্দিতে সে হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ কী ছিল, পরিকল্পনাকারী কে, হত্যাকাণ্ডে কতজন অংশ নিয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের পর কে কোথায় ছিল এসব বিস্তারিত তথ্য দেয়। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পর সন্দেহভাজন হিসেবে মিনহাজুল ইসলাম নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করি।
এর পর বিকাশ লেনেদেনের সূত্র এবং প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় মিজানুর রহমানকে। তাকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালত থেকে রিমান্ড মঞ্জুর করলে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।
তার স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পকারী জমিদারের ছেলে আসিফকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। একইসময়ে আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মিজান।
ওসি বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে আরো যারা সরাসরি জড়িত রয়েছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি সহসাই এই হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ হবে এবং আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করত সক্ষম হবে তদন্তকারী কর্মকর্তা।