চট্টগ্রামের সময় ডেস্কঃ
স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে বড় কর্মসূচির সংশোধনী প্রস্তাবসহ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সরকারি নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৬ হাজার ২৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং ১৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম,এ, মান্নান।
এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ স্বাস্থ্য জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (চতুর্থ এইচপিএনএসপি) প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়েছে। এটির মূল ব্যয় ছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৪৮৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এখন প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ৩০ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ও এর অধীনস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। মন্ত্রী জানান, এটি কোনো একক প্রকল্প নয়, অনেক গুলো প্রকল্পের সমষ্টি।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- মোংলা কমান্ডার ফ্রোটিলা ওয়েস্ট (কমফ্লোট ওয়েস্ট) এর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন প্রকল্প। আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চারলেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্প।
বাংলাদেশের ১০টি অগ্রাধিকারভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রকল্প। ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধিভূক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসনকরণ প্রকল্প।
ঢাকার আজিমপুরস্থ মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ডাক্তার, কর্মকর্তা, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও প্রশিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল/ডরমিটরিটরি নির্মাণ, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এর প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ, গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন এবং স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি (পাইলট) প্রকল্প।