চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ইলিয়াস কাঞ্চনসহ শপথ নিবেন আজ
চট্টগ্রামের সময় ডেস্কঃ
নির্বাচনে বিজয়ী হলেও টাকা দিয়ে ভোট কেনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ হারালেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নানা ঘটনার পর গতকাল শনিবার তার প্রার্থিতা বাতিল করে পরাজিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তে সন্তোষ জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। অন্যদিকে ক্ষোভ জানিয়ে মামলার হুমকি দিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
এই নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত আপিল বোর্ডের সভার পর বোর্ডেল প্রধান চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে তার নিকটতম প্রার্থী নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হল। একই অভিযোগে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত চুন্নুর প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারসহ বিজয়ী প্রার্থীরা আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবেন বলে শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের সদস্য জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রোববার বিকাল ৫টায় শিল্পী সমিতির স্টাডি রুমে শপথের আয়োজন করা হবে। আপিল বোর্ডের সামনে গতকাল হাজির ছিলেন নিপুণ। তবে জায়েদ খান আসেননি। আর তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল সমিতির সদস্যপদ না পাওয়া শিল্পীরা। গত ২৮ জানুয়ারি ভোটের পর নিপুণ অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তুললেও জায়েদ তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ফলে এখন শিল্পী সমিতিতে শীর্ষ পদে দুজনই একই প্যানেলের হলেন। নিপুণের এই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
আপিল বোর্ডের ঘোষণার পর সেখানে উপস্থিত নিপুণ সাংবাদিকরেদর বলেন, আমার কাছে অনেক ডকুমেন্টস ছিল। জানুয়ারির ২৮ তারিখ থেকে আমি নির্বাচন কমিশনকে সব বিষয় জানিয়েছি, কিন্তু আমাকে হেল্প করে নাই। এবার সত্যের জয় হয়েছে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
গত রোববার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাধারণ সম্পাদক পদের পরাজিত প্রার্থী অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার ওই পদে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানান। তার আপিলে ভোট পুনর্গণনা হলেও তাতে ফল একই থাকলে নিপুণ সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ সম্পাদক পদে পুনঃভোটের দাবি তোলেন।
তার আবেদনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেছিলেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহান। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলে গতকাল শনিবার দুই পক্ষকে নিয়ে বসার উদ্যোগ নেন সোহান।
তবে বৈঠকে যাবেন না বলে আগেই জানিয়ে দেন গত দুই বারের সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি বলেন, ২৯ জানুয়ারির পর থেকে আপিল বোর্ড বিলুপ্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।
বিষয়টি নিয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানসহ পাঁচজনের নামে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন বলেও জানান জায়েদ খান।
আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত না মানার ঘোষণা দিয়ে জায়েদ সাংবাদিকদের বলেন, এটা আইন বহির্ভূত, পৃথিবীতে এটা নজিরবিহীন ঘটনা, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর মৃত আপিল বোর্ড রায় ঘোষণা করে! আমি আইনি নোটিস দেওয়ার পরও তারা যা করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।