চট্টগ্রামের সময় ডেস্কঃ
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে টানা তৃতীয় দিনের মত ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ হাজার ৮০৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।
এর আগে মঙ্গলবার ১৬ হাজার ৬৬ জন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল, যা মহামারীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর বুধবার ১৫ হাজার ৫২৭ জন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের সময়, গত বছরের ২৮ জুলাই ১৬ হাজার ২৩০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, মহামারীর মধ্যে সেটাই সর্বোচ্চ।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩১ জনে। তাদের মধ্যে মোট ২৮ হাজার ২৮৮ জনের মৃত্যুর খবর সরকারের খাতায় এসেছে। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন এক হাজার ৩৭ জন।
তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৫৮ হাজার জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৯ হাজার ৭৬৯ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত এক দিনে চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ১১২৭ জন, কঙবাজারে ২৬৫ জন, নোয়াখালীতে ১০৯, চাঁদপুরে ১২৩ জন এবং কুমিল্লায় ২৪১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের পাঁচ জন পুরুষ, ১০ জন নারী। তাদের মধ্যে আট জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের তিনজন, রাজশাহী বিভাগের দুজন, বরিশাল বিভাগে একজন এবং রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন একজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ছয় জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, চারজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর এবং একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।