ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীঃ
বিশ্বকবি রবীঠাকুরের ‘শিশুতীর্থ’ কবিতার কিছু পংক্তি নিবেদনে নিবন্ধের সূচনা করতে চাই – ‘কেউ বা অলক্ষিতে পালিয়ে যেতে চায়, পারেনা;/অপরাধের শৃঙ্খলে আপন বলির কাছে তারা বাঁধা।/পরস্পরকে তারা শুধায়, “কে আমাদের পথ দেখাবে।”/পূর্ব দেশের বৃদ্ধ বললে, “আমরা যাকে মেরেছি সেই দেখাবে।”/সবাই নিরুত্তর ও নতশির।/বৃদ্ধ আবার বললে, “সংশয়ে তাকে আমরা অস্বীকার করেছি,/ক্রোধে তাকে আমরা হনন করেছি,/প্রেমে এখন আমরা তাকে গ্রহণ করব,/কেননা, মৃত্যুর দ্বারা সে আমাদের সকলের জীবনের মধ্যে সঞ্জীবিত, সেই মহামৃত্যুঞ্জয়।”/সকলে দাঁড়িয়ে উঠল, কন্ঠ মিলিয়ে গান করল, “জয় মৃত্যুঞ্জয়ের জয়॥
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবর্ষ উদযাপন অতিক্রান্তে বিজয় ২০২১ এর গুরুত্ব অন্যমাত্রায় প্রতিভাত। মুক্তির মহানায়ক বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতির সূচনালগ্ন থেকেই দেশপ্রেমের আদর্শিক চেতনায় পরিপুষ্ট স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জীবনের সকল সুখ স্বাচ্ছন্দ পরিহার করে নিরলস ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়েছেন। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের কঠিন কালপরিক্রমায় যে সত্যাগ্রহ, নির্লোভ-নির্মোহ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন; তার মূলে ছিল স্বজনপ্রীতি-দুর্নীতিমুক্ত শোষণহীন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অবিচল ব্রত।
আমরা অবগত আছি যে, ভারতের জাতির পিতা পরম শ্রদ্ধেয় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্য; আত্নার অমিয় শক্তিতে বিশ্বাসী অহিংস সংগ্রাম; শান্তি ও কালজয়ী মানবতার জন্য ‘মহাত্মা’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর উদ্দেশ্যে বিশ্বজয়ী বিজ্ঞানী প্রফেসর আইনষ্টাইন বলেছিলেন, ‘আমাদের তুমিই একমাত্র ভরসা, তোমার পদচিহ্নই আগামীকালের পৃথিবীর কক্ষপথ’।
রবীঠাকুর তাঁকে ‘ঋতুরাজ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। আজ বাঙালির বঙ্গবন্ধু বিশ্বপরিমন্ডলে একই ধারাবাহিকতায় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ভাবনা-সংগ্রাম-ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর শোষিত-বঞ্চিত-স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠীর বিশ্ববন্ধু হিসেবে নন্দিত ও সমাদৃত। বঙ্গবন্ধুর জন্মেই যেন বাঙালি জাতি শুনতে পেয়েছিল রবীঠাকুরের সেই ‘অচেনা’ কবিতার নাদিত নান্দীপাঠ, “রে অচেনা, মোর মুষ্টি ছাড়াবি কী ক’রে/যতক্ষণ চিনি নাই তোরে?/কোন অন্ধক্ষণে বিজড়িত তন্দ্রা জাগরণে/রাত্রি যবে সবে হয় ভোর, মুখ দেখিলাম তোর।”
বস্তুতপক্ষে: বঙ্গবন্ধুর জীবন চরিত, জীবন-সমাজ-রাষ্ট্র-শিক্ষাদর্শন, বৈশ্বিক সম্পর্ক ইত্যাদি পর্যালোচনায় এটি বরাবরই প্রতীয়মান হয়েছে, তিনি ছিলেন অনগ্রসর বাঙালি সমাজের বিদ্যমান সকল কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামী, মানবাধিকার বিরোধী কার্যকলাপ, শোষণ-বঞ্চণার কঠিন অন্ধকার দূরীভূত করে বাঙালি জাতি-সত্ত্বার ভিত্তিতে আধুনিক-গণতান্ত্রিক-সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা। তাঁর সততা, সত্যবাদীতা, নির্ভীক সাহসীকতা, অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, দেশপ্রেম, মাটি ও মানুষের প্রতি নিঁখাদ ভালোবাসা ছিল অতুলনীয়। এ দেশের সমগ্র জনগণ তাঁর নেতৃত্বে আস্থাশীল হয়ে অকাতরে ত্রিশ লক্ষ প্রাণ এবং দুই লক্ষ জননী-জায়া-কন্যার সর্বোচ্চ প্রপতন বিসর্জনে অর্জন করেছে এই স্বাধীন মাতৃভূমি।
রবীঠাকুরের ভাষায় আবারো ব্রততী চরণে বলতে হয়, ‘হে অচেনা, দিন যায়, সন্ধ্যা হয়, সময় রবে না,/ মহা আকস্মিক বাধাবন্ধ ছিন্ন করি দিক,/তোমারে চেনার অগ্নি দীপ্তশিখা উঠুক উজ্জ্বলি,/দিব তাহে জীবন অঞ্জলি।’
১৯৬৯, ৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক রাজনীতিক বাংলার দুই অবিসংবাদিত জননেতা শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা ফজলুল হকের মাজার সংলগ্ন আয়োজিত শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর ভাষণে অত্যন্ত আবেগে ভরা কন্ঠে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “এদেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্টা হইতে ‘বাংলা’ কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকুও চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে। …. একমাত্র বঙ্গোপসাগর ছাড়া আর কোনো কিছুর নামের ‘বাংলা’ কথাটির অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই।”
তাই সেই দিন বাঙালি জাতির চিরায়ত ঐতিহ্যিক এই আবাস ভূমিকে পূর্ববঙ্গ বা পূর্ববাংলা নয় ‘বাংলাদেশ’ নামেই এটির নামকরণ করেছিলেন। জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের ভাষায়, এই ঘোষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তাঁর এবং বাঙালি জাতির মধ্যে অবিচ্ছেদ্য আঙ্গিক সম্পর্ক নির্মাণ করেছেন। এটিই ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের অভীষ্টতম চারণক্ষেত্র।
৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অভূতপূর্ব বিজয় পূর্ব বাংলায় জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ১৬২ আসনের মধ্যে ১৬০ আসনে জয়লাভ যার ফলে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতার কর্ণধার তথা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সকল পথ উম্মুক্ত হয়। কিন্তু সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগরে এই বিজয়কে নস্যাৎ করার পরিকল্পনা করে। এর প্রেক্ষিতে ৭১’র ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণায় মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অকুন্ঠচিত্তে তাঁর প্রতি সমর্থন ঘোষণা করলেন।মৌলানা ভাসানী ৭১’র ৯ মার্চ পল্টনে জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, বঙ্গবন্ধুর এই স্বাধীনতার দাবী ২৫ মার্চের মধ্যে যদি মেনে নেয়া না হয় তাহলে তিনি বঙ্গবন্ধুর সাথে এক হয়ে স্বাধীনতার জন্য সর্বাত্নক সংগ্রাম শুরু করবেন। সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া বিভিন্ন
আলোচনার নামে সময় ক্ষেপনের মাধ্যমে ভূট্টোর সাথে ষড়যন্ত্রে আবদ্ধ হয়ে ২৫ মার্চ কালো রাতে ইপিআর, পুলিশসহ সকল স্তরের নিরস্ত্র জনগণের উপর ইতিহাসের নির্মম গণহত্যা পরিচালনা করে। মধ্যরাতে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করার পুর্বেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। স্বাধীনতার এই ঘোষণার প্রেক্ষিতেই মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুজিব নগর সরকারের নেতৃত্বে পরবর্তী ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
মহান স্বাধীনতা অর্জনের অব্যবহতির পরেই ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারী পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী মহাকালের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর আজীবন লালিত স্বপ্ন ও সংগ্রামের অমিত ফসল স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের সূচনা থেকেই এই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিকে নতুন করে নির্মাণের নিরলস কর্মকান্ডে অফুরন্ত উৎসাহ উদ্দীপনায় ঝাঁপিয়ে পড়েন।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং পাকিস্তানের পক্ষে লড়াকু পরাজিত শত্রুদের কূটচক্রের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের ফলে নানাবিধ অনাকাঙ্খিত সংকটের মোকাবেলা করে যখন ‘এসো দেশ গড়ি’ প্রত্যয়ে জোরালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন এসব অপশক্তি দেশকে বিশ্বপরিমন্ডলে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’, অদক্ষ ও অযোগ্য রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নেতি-বিশেষণে আখ্যায়িত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল।
এটি সর্বজনবিদিত যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট মানব সভ্যতার পাঠচক্রে নিষ্ঠুর-নৃশংস-বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে সপিরবারে বঙ্গবন্ধুকে শাহাদাৎ বরণের কলঙ্কজনক কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল। ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত বাহিনীর কূট প্ররোচণা ও তৎকালীন সামরিক রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭৮ সনের ২য় ঘোষণাপত্র আদেশ নং- ৪ এর দ্বিতীয় তফসিল বলে সন্নিবেশিত সংশোধনী এনে বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে অতি জঘন্য ও ন্যাক্কারজনকভাবে ইতিহাসের সাবলীল ও শ্বাশত ধারাকে পাল্টানোর অশুভ প্রয়াস চালানো হয়েছিল।
১৯৭২ সালে প্রণীত ও গৃহীত পবিত্র সংবিধানের এই মৌলিক বিষয়ের পরিবর্তন সাধন করে ১৯৭৮ সালে সংযোজিত হয় – “জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ”। বস্তুতপক্ষে ১৯৭২ সালে সংবিধানে ‘জাতির মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম’র স্থলে ‘জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ’ সন্নিবেশিত করে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামকে পরিপূর্ণ অবজ্ঞায় শুধুমাত্র ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়কে কেন্দ্রীভূত করা এবং পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে ইতিহাস বিকৃতির কুটকৌশলের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি কারো অজানা নয়।
বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবন, জেল-জুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করার গৌরবগাথাঁ; তাঁকে ম্লান ও দেশবাসীর হৃদয় থেকে মুছে ফেলার অনাকাঙ্খিত-অনভিপ্রেত ও অশুভ গতিপ্রবাহের রুদ্ধতাকে চ্যালেঞ্জ করা দুরূহ ব্যাপার ছিল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত না হলে ১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া এবং দেশ-জাতি ও দেশবাসীকে এই বিকৃত ইতিহাসের নগ্ন থাবা থেকে কোনভাবে উদ্ধার করা যেত না।
বাংলাদেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় প্রগতিশীল সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী আবুল ফজলের ভাষায়, “বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ও সর্বাধিক উচ্চারিত নাম শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের ইতিহাসের তিনি শুধু নির্মাতা নন, তাঁর প্রধান নায়কও। ঘটনাপ্রবাহ ও নিয়তি তাঁকে বার বার এ নায়কের আসনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বলা যায়, যেন হাত ধরে টেনে নিয়ে গেছে। তাঁকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের গত পঁচিশ বছরের ইতিহাস রচিত হতে পারে না। শত চেষ্টা করেও তাঁর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না। ইতিহাস দেয় না তেমন কিছু করতে।
ইতিহাস নিজের অঙ্গ নিজে করে না ছেদন। শেখ মুজিব ইতিহাসের তেমন এক অচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাংলাদেশের শুধু নয়, বিশ্ব-ইতিহাসেরও”। দেশ এবং দেশের বাইরে সকল বিবেকবান ব্যক্তি, রাষ্ট্রনায়ক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী, যে কারও লেখনীতে বঙ্গবন্ধুর অবদান আবিষ্কারে সাহিত্যিক আবুল ফজলের মতোই বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
বস্তুতঃপক্ষে এই মহান বিজয় দিবসে দেশের সামগ্রীক উন্নয়ন-মূল্যায়নের মধ্যেই লুকিয়ে আছে দেশ বিজয়ের বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অর্জন, অগ্রগতি ও সাফল্যগাঁথার উল্লেখযোগ্য প্রাগ্রসর সূচকে অধিষ্ঠিত ও বিশ্বপরিমন্ডলে উঁচুমাত্রিকতায় মর্যাদাসীন হওয়ার সফল-সার্থক ক্যানভাস জাতিকে নবদিগন্তের স্বাপ্নিক করে তুলেছে। দুর্ভেদ্য সত্য হলো; মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায় দীপ্যমান বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত নির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্যতম সঠিক নেতৃত্ব শুধু অনিবার্য নয়; পবিত্রিত অবশ্যম্ভাবী দৃষ্টান্তরূপে অত্যুজ্জ্বল।
পুরো বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর মত এই মহামানবের জন্মশত বার্ষিকী উদ্যাপনে গৌরবদীপ্ত পদাবলিতে সভ্যতার প্রতিভূ হতে চায়। ধারাবাহিকতায় চমকপ্রদভাবে যুক্ত হয়েছে মহান স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী। কী অপূর্ব, কী অসাধারণ প্রকীর্তির নিবিষ্ট সমীকরণ।
আজকের দিনে বিনম্রচিত্তে মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা-পরিবারের সকল শহীদান, জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ৩০ লক্ষ জনগণ ও সর্বোচ্চ সম্ভ্রম হারানো ২ লক্ষ জননী-জায়া-কন্যাসহ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তীতে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে প্রাণ বিসর্জনকারী সকলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।