ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দুই দল মুসল্লির মধ্যে শুক্রবার দুপুরে হওয়া সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। পৌর এলাকার ভাদুঘরের একটি মসজিদে দরুদ পাঠকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যেই দুজন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় সন্ধ্যা নাগাদ থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পৌর এলাকার ভাদুঘর খাদেম পাড়ার মসজিদে নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মুসল্লিরা। এ সময় আজানের আগে দরুদ শরীফ ও নামাজের পরে দোয়া হওয়া নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়।
সোহেল মিয়া, শরীফ মিয়া ও ফারুক মিয়াসহ কয়েকজন মুসল্লি এমন ‘নিয়মে’ বাধা দিলে অন্যরা কারণ জানতে চান। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মসজিদের ভিতরেই তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর ভাই মো. সালাউদ্দিনসহ পাঁচজন আহত হন।
আহত দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, নামাজের আগে দরুদ শরীফ পড়ানো শুরু হলে সোহেলসহ কয়েকজন বাধা দেন। খতিবসহ অন্যরা বিষয়টি বুঝিয়ে বললেও তারা তাতে কর্ণপাত করেননি। এক পর্যায়ে দলবল নিয়ে হামলা করা হয়। সোহেল হেফাজত ইসলামের সমর্থক বলে অভিযোগ করেন দেলোয়ার হোসেন।
স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ পারভেজ জানান, মসজিদের ভিতরেই হামলার ঘটনা ঘটে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইসলামকে কেন্দ্র করে এ ধরণের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি।
মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল আহাদ ইসলাম জানান, কিছু লোক নামাজের পূর্বে দরুদ শরীফ এবং পরে দোয়া পড়ার বিষয়ে বাধা দেন। এ বিষয়ে ব্যাখা দেওয়া হলেও বাধাদানকারিরা মানতে রাজি হননি। এ নিয়ে মসজিদের ভেতরেই দুপক্ষ হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। পরে মসজিদের বাইরে সংঘর্ষ হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, এলাকার আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এমনটি ঘটেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।