রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গুনিয়ায় ইউপি সদস্য প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় প্রার্থীসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গতকাল রবিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড নাপিতপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন বর্তমান ইউপি সদস্য ও নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মো. ফারুক (৪০) এবং তার সমর্থক শাহ আলম (৪৫), মো. সেলিম (৩৫) ও খোকন দে (৪৫)।
তাদের প্রথমে চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালে নেওয়া হলে আশংকাজনক হওয়ায় পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সুইউত্রই মার্মা বলেন, “আহতদের মধ্যে ফারুকের হাতে এবং পায়ে দু’টি, শাহ আলমের মাথার সামনের দিকে একটি, সেলিমের ডান পায়ে এবং খোকন দে’র হাতে একটি করে গুলি লাগে। তাদের সবার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।”
আহত প্রার্থী মো. ফারুকের ছোট ভাই মোহাম্মদ হাসান মুরাদ জানান, “বড় ভাই ফারুক ১,১৬৫ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজা মিয়াকে ৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন কিন্তু ফলাফল নিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থী রাজা মিয়া উত্তেজনা সৃষ্টি করলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা উপজেলা থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে চলে যেতে চান।
কিন্তু তাদের সমর্থকরা কেন্দ্র ঘিরে রাখে এবং ফলাফল ঘোষণা করে তারপর যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এসময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাজা মিয়ার কিছু সমর্থক অতর্কিত অস্ত্রহাতে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার বড় ভাই ফারুকসহ তার তিন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হন।”
প্রার্থী মো. রাজা মিয়া উল্টো নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন দাবি করে তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “প্রার্থী ফারুক ও তার সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে গণ্ডগোল করার কারণে পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমাদের কয়েকজন কর্মী-সমর্থকও আহত হয়েছে।”
এই ব্যাপারে ফলাহারিয়া নাপিতপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবু বক্কর বলেন, “আমরা সকল প্রার্থীর এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা শেষে ঘোষণা করতে চাইলে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী রাজা মিয়া ফলাফল না মেনে পুনরায় গণনা করার জন্য বলেন। এতে বাইরে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে অতর্কিত এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের সহায়তায় আমরা কোনোমতে চলে আসতে সক্ষম হই।”
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিলকী বলেন, “ব্যালট পেপার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা কেন্দ্রের ভেতর ব্যস্ত ছিল। এসময় বাইরে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।”
জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।