চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী কোকদন্ডী খেদামুড়ার পাহাড় কাটা অংশটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে ভরাট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গরবার (৯ নভেম্বর) দুপুর বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই ভরাট কর্যক্রম শুরু করা হয়।
এসময় সাথে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজাহারুল ইসলাম, বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত আজিজুল ইসলাম, কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. আ.ন.ম শাহাদত আলমসহ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিরা।
এর আগে, ২০১১ সালে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি উপজেলার কালীপুর ইউপির জঙ্গল কোকদন্ডী খেদামুড়াটি পাহাড়ি অংশ কেটে লাখ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করে পাহাড়টি ধ্বংস করে।
ওই পাহাড় কাটা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদে প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইসআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।
এই রিট পিটিশন শুনানিতে হাইকোর্ট আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। পরে রুল শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৭ মে বিচারপতি জিন্নাত আরা ও বিচারপতি কাজী মোহাম্মাদ ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রোল যথাযথ ঘোষণা করে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন।
ওই নির্দেশনা অংশে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে এক বছরের মধ্যে জঙ্গল কোকদন্ডী খেদামুড়াটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং সরকারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করা, পাহাড় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যে অর্থ খরচ হবে, তা মাঠি বিক্রি করার জন্য দায়ীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায় করা, যেসব সরকারী কর্মকর্তার নিষ্ক্রিয়তায় পাহাড় ধ্বংস করা হয়েছে,তাদের বিরুদ্ধে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এ রায় অনুসারে, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্তমান ও তৎকালিন দায়িত্ব পালন করা চট্টগ্রামের সাবেক ও বর্তমান ডিসি, সাবেক ও বর্তমান পুলিশ সুপার,সাবেক ও বর্তমান ইউএনও, সাবেক ও বর্তমান ওসি সহ ৯ জন সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করলে উচ্চ আদালত গত ৪ জুলাই এ আদেশ দেন।