চট্টগ্রামঃ
আয়কর বিভাগ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির জন্য গত বছরের মতো এবারও আয়কর মেলা হচ্ছে না। তবে এবারও আয়কর মেলার আদলে কর অঞ্চলগুলোর দপ্তরে বুথ বসিয়ে করসেবা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সারাদেশের মতো চট্টগ্রামের চারটি কর অঞ্চলেও গতকাল থেকে মাসব্যাপী আয়কর রিটার্ন ও আয়কর সম্পর্কিত অন্যান্য সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গতকাল সকালে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার কর অঞ্চল-৪’র কার্যালয়ে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মাসব্যাপী আয়কর রিটার্ন গ্রহণ ও তথ্যসেবা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম কর অঞ্চলের কমিশনাররা। স্থাপিত আয়কর বুথগুলোতে ই-টিআইএন নিবন্ধন, রিটার্ন গ্রহণ, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র গ্রহণ ও আয়কর সম্পর্কিত পরামর্শ নিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে কর অঞ্চলের-১’র কমিশনার সৈয়দ মো. আবু দাউদ বলেন, এটি কর বিভাগকে ব্র্যান্ডিং করার মাস। আমাদের সহকর্মীরা ঘুমন্ত সন্তানকে রেখে অফিসে আসেন আবার বাচ্চা যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন বাসায় ফেরেন।
তাদের ভুল হলে করদাতারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। একই সঙ্গে সহকর্মীদের প্রতি সম্মানিত করদাতাদের হাসিমুখে সেবা দেওয়ার আহ্বান জানাই। শ্রদ্ধাবোধ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে রিটার্ন গ্রহণ করবেন।
কর অঞ্চল-২’র কমিশনার একেএম হাসানুজ্জামান বলেন, এ আয়োজন তাদের জন্য যারা সরকারকে কর দেন। আয়কর গ্রহণের শেষ মাসে সহজে রিটার্নের তথ্য পূরণ ও দাখিলে সেবা দিয়ে থাকি। করদাতারা আমাদের সেবা নেবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
কর অঞ্চল-৩’র কমিশনার মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, মেলা অনুষ্ঠিত না হলেও আমরা মেলার আদলে আয়কর সংক্রান্ত সেবা দিবো। আমরা নতুন করদাতা সৃষ্টির দিকেও নজর দিচ্ছি। কর কমিশনার (অঞ্চল ৪) এসএম ফজলুল হক বলেন, কর বিভাগের প্রধান লক্ষ্য ভাবমূর্তি। ভাবমূর্তি হচ্ছে মানুষ যা ভাবে।
আমরা চাই করদাতারা রিটার্ন দিয়ে ফেরার সময় যেন ভাবে, কর বিভাগ আমার বিভাগ। মেলার পরিবেশে মাসব্যাপী রিটার্ন গ্রহণ ও সেবা দেব আমরা। শূন্য রিটার্ন দিলেও উৎসাহিত করতে হবে। মেলার কারণে জনসাধারণের মধ্যে কর সচেতনতা বেড়েছে।
উপ-কর কমিশনার (সদর প্রশাসন) মো. ফারজানুল ইসলাম সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন কর আপিল কমিশনার মঞ্জুমান আরা বেগমসহ প্রমুখ।