প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
আনোয়ারা প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্য ও উপদেষ্টাদের না জানিয়ে পরস্পর যোগসাজশে নিবার্চনের নামে তামাশা সৃষ্টির কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হবার আগে নির্বাচন স্থগিত করার জন্য আইনগত নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) রেজিস্ট্রার্ড ডাকযোগে (ফেরত রশিদসহ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোরশেদ হোসেন ও অপর দুই সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার ও ডিএইচ মনসুর বরাবরে এডভোকেট মো. মোকাররম হোসেন মুরাদ প্রেসক্লাবের সদস্য জসিম উদ্দিনের পক্ষে আইনগত নোটিশটি পাঠিয়েছেন।
আইনগত বিজ্ঞপ্তিতে সকল সাধারণ সদস্য ও সম্মানিত উপদেষ্টাতে সম্মতিতে খচড়া ও চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন নিয়োগের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির সুযোগ তৈরির কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৩ জন কমিশনারের মধ্যে মোরশেদ হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার দুইজনই বরুমচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বেতনভুক্ত শিক্ষক। অন্যজন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি ও একটি ফার্মেসির মালিক।
ওই ফার্মেসিতে বসে তড়িগড়ি করে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্য নির্বাচন আয়োজন ও সম্পন্ন করার জন্য ফেসবুকে স্ট্যাস্টার্স দেয় তারা। ফার্মেসি থেকে কথিত তফশিল ঘোষণা দেখে কর্মরত সাংবাদিকেরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। সচেতনমহলেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
জানা গেছে, ৩ জন কমিশনার নিজেরা ভোটার আবার কমিশনারও। অর্থাৎ কমিশনারও ভোট দেবেন পাতানো এই নির্বাচনে। ৩ জন কমিশনারের কারও মূল পেশা সাংবাদিকতা নয়। তারা স্কুল ও ঔষধ কোম্পানি থেকে বেতন ভাতা নেন। প্রশ্ন ওঠেছে, তারা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্কুলে ছাত্রছাত্রী পড়ায় কখন?
জানা গেছে, ঘোষিত তফশিলে ভোটার কারা তা গোপন রাখা হয়। সম্মানিত উপদেষ্টা ও সাধারণ সদস্য যারা ২০ বছরে ধরে এই প্রেসক্লাবের সদস্য ও বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তাদের থেকে বিষয়টি গোপন রেখে এটা কেমন তফশিল তা নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে পড়ে গোটা আনোয়ারাসহ চট্টগ্রামে।
আইনগত নোটিশে বিনীতভাবে কর্মরত সাংবাদিক ও সকল সদস্যের অংশ গ্রহণে পেশাদার সাংবাদিক নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে এ নির্বাচন স্থগিত করার অনুরোধ করা হয়।
তরুণ সাংবাদিক পূর্ব বাংলা পত্রিকার আনোয়ারা প্রতিনিধি জসীম উদ্দিন প্রেসক্লাবের সিনিয়র ও কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করে সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা, দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও আনোয়ারার কল্যাণে সঠিক নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য বিবেকের তাড়নায় এই আইনগত বিজ্ঞপ্তিটি দেন বলে জানান।