চট্টগ্রামঃ
আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রোববার মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে ভোলার জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী।
আদালতের জিআরও শাখার সূত্র ও ভোলার আইনজীবী কেএম সাইফুল ইসলাম আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।আইনজীবী কেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি আগেও জামিনে ছিলেন।
তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই জামিনের আবেদন করেছি। তবে আদালত তা না মঞ্জুরের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর মামলার ধার্য তারিখে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন করেন ভোলা। আদালত তা নাকচ করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বেনাপুল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্তকারি সংস্থা পিবিআই।
এক পর্যায়ে সেদিনই তাকে আদালতে হাজির করলে মিতু হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এদিকে ভোলার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির দিন মিতু হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের মামলায় পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দাখিল করেছেন বাবুল আক্তার নিজেই। শুনানি শেষে আদালত এটি গ্রহণ বিষয়ে আগামী ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
সে সময় বাবুল আক্তার দাবি করেন, জঙ্গিরাই তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছেন। পাঁচলাইশ থানায় করা উক্ত মামলা ডিবি পুলিশ হয়ে তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সংস্থাটি গত ১২ মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। যেখানে বলা হয়, বাবুল আক্তারই স্ত্রী মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
এদিকে পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের ওইদিন পাঁচলাইশ থানায় মিতু খুনের ঘটনায় বাবুল আক্তার, ভোলাসহ ৮ জনকে আসামি করে বাবুল আক্তারের শ্বশুর নতুন একটি মামলা করেন। মামলার এজহারে বলা হয়, বাবুল আক্তারই পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী মিতুকে লোক লাগিয়ে হত্যা করেন।
এক পর্যায়ে বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং সেদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আগের দিন ১১ মে ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয় চট্টগ্রামের পিবিআই। বর্তমানে তিনি ফেনী কারাগারে আছেন।