নগরীর জেএম সেন হলে দুর্গাপূজার মণ্ডপে হামলার চেষ্টা ও ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়াসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে যুব অধিকার পরিষদের সাতজনকে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গত শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত তাদের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া সাত আসামি হলো যুব অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্যসচিব মিজানুর রহমান, বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক মো. রাসেল, কর্মী ইয়াসিন আরাফাত, হাবিবুল্লাহ মিজান, ইমন ও ইমরান হোসেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, “গ্রেফতার দশজনকে আদালতে পাঠানো হয়৷ তাদের মধ্যে সাতজনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেককে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।”
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর জেএম সেন হল পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টার ঘটনায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। এসআই আকাশ মাহমুদ ফরিদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
জেএম সেন হল পূজামণ্ডপে হামলার মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার ইমরান মাজেদ রাহুলের বাবা মো. ইলিয়াছ নগরীর দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি।
এছাড়া ঘাটফরহাদবেগ এলাকার মো. হানিফ, নূপুর মার্কেটের আবদুর রহিম ও চন্দনাইশের হাশিমপুর এলাকার সায়দাবাদ গ্রামের এসএম ইউসুফও নেতৃত্ব দিয়েছে হামলায়।
জড়িতদের অধিকাংশই টেরিবাজার, রেয়াজউদ্দিন বাজার ও খলিফাপট্টি এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তাদের বাড়ি সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালী এলাকায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।