সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ
সীতাকুণ্ডের ৯টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় একক প্রার্থী মনোনিত হয়ে ঢাকা থেকে স্ব স্ব এলাকায় ফিরছেন প্রার্থীরা। গতকাল বুধবার দুপুরের পর থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আনন্দ মিছিল করার জন্য নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জড়ো হয়।
এ সময় তারা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, মিছিল করতে থাকেন। এতে বিকেল পৌনে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মহাসড়কে পৃথক পৃথক স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়ে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা।
দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বারৈয়াঢালা চেয়ারম্যান প্রার্থী রেহান উদ্দিন রেহান এলাকায় আসলে দলীয় নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রার্থীকে নিয়ে মহাসড়কে আনন্দ মিছিল করেন।
এ সময় ওই এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। সোনাইছড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনির আহমেদ আসার খবরে পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী ওই ইউনিয়ন থেকে দুই কিলোমিটার এগিয়ে এসে কুমিরা ইউনিয়নের স্মৃতি ৭১ এলাকায় জড়ো হন। এ সময় তাদের মিছিলে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিকেল পাঁচটার দিকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ সেখানে উপস্থিত হন কুমিরা ইউনিয়নের দলীয় মনোনীত প্রার্থী মোরশেদ হোসেন চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা। এ সময় মোরশেদ হোসেন চৌধুরী মিছিলের সামনে উপস্থিত ছিলেন। দুই নেতার অনুসারীরা এক জায়গায় জড়ো হওয়ায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিবহনের গাড়িগুলো।
পরে হাইওয়ে পুলিশ স্ব স্ব এলাকায় গিয়ে নেতাকর্মীদের অনুরোধ করে মহাসড়ক থেকে সড়িয়ে দিলে ধীরে ধীরে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। এ সময় তীব্র যানজটে গাড়িতে আটকা পড়ে শত শত দূর-দূরান্তের মানুষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে প্রার্থীরা আসার খবরে মহাসড়কে স্ব স্ব এলাকার নেতাকর্মীরা জড়ো হওয়ার কারণে খানিকটা যানজট লেগে যায়। অবশ্যই পরে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে নেতাকর্মীদের অনুরোধ করলে উনারা সড়ক থেকে নেমে পড়ার পর পর গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে পড়ে।