অনলাইন সময় ডেস্কঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শরীরের তাপমাত্রা উঠানামা করায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর ভর্তি করা হয়।
গত মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকালে রাজধানী ঢাকার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসকদের পরামর্শেই বিএনপি চেয়ারপারসনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, “এখান তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।”
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দেখভাল করছেন বলে জানান ডা. জাহিদ।
নিজের গাড়িতে চড়ে খালেদা জিয়া হাসপাতালে পৌঁছানোর পর গাড়ি থেকে হুইল চেয়ারে করে তাকে নির্দিষ্ট কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তার সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে বাসায় খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে তিনি নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে চলে যান।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর পরিবারের আবেদনে গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ তাকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল তার পরিবার। তবে সরকার বলেছে, সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থানের সময় গত এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
কোভিডোত্তর জটিলতায় ২৭ এপ্রিল খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস সিসিইউতে ছিলেন তিনি।
পরে ১৯ জুন মেডিকেল বোর্ড বাসায় নিয়ে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে ছাড়পত্র দেয়।