অনলাইন সময় ডেস্কঃ
কমার্স প্ল্যাটফর্মে কোরবানির জন্য গরু অর্ডার দিয়ে কাঙ্ক্ষিত গরু পাননি। সেখানে প্রতারিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল রোববার বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সম্মেলন কক্ষে ‘প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ডেসটিনি ও যুবকের প্রতারিত গ্রাহকরা অন্তত ৫০ থেকে ৬০ ভাগ টাকা ফেরত পেতে পারেন।
মন্ত্রী বলেন, এক বছর আগে কোরবানির ঈদে একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনকালে কোরবানির জন্য একটি গরুর অর্ডার করে এক লাখ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে যে গরুটি দেখিয়েছিল আমি সেটি পাইনি। আমি নিজেই অর্ডার করে প্রতারিত হয়েছিলাম। তিনি বলেন, একটি জিনিস নতুন করে চালু করলে সেটা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তার ভুক্তভোগী আমি নিজেই।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মফিজুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে ইভ্যালির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। মামলাটা আদালতে চলমান। শিগগিরই রায় হবে।
তিনি বলেন, ই-কমার্স বন্ধ না করে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে। এখান থেকে ই-কমার্সের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হবে এবং কঠোরভাবে ডিজিটাল বাণিজ্য মনিটরিং করা হবে। একই সঙ্গে যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের প্রতারণার সুযোগ না পায়, সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণও করেছে।
অর্ধেক টাকা ফেরত পেতে পারেন ডেসটিনি-যুবকের প্রতারিতরা : বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকদের অন্তত ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে ডেসটিনি ও যুবকের মালিকপক্ষ।
ই-কমার্স খাত নিয়ে মন্ত্রী বলেন, খাতটি এগিয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্তত ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠানকে আমরা বিপদে ফেলতে পারি না।
তিনি বলেন, ডেসটিনি ও যুবকের অনেক সম্পদ রয়েছে। যার দামও বেড়েছে অনেক। ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করলেও যে টাকা পাওয়া যাবে তা দিয়ে গ্রাহকদের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ টাকা ফেরত দেওয়া যাবে। এ নিয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।