চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের খেলাধুলার প্রাণ হচ্ছে এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম। ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর বিশ্বের ৮২তম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হয়েছিলো এই স্টেডিয়াম। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম জয় পেয়েছিলো এখান থেকেই।
এই স্টেডিয়াম থেকে অনেক খেলোয়াড় জাতীয় দলে অংশ নিয়ে কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছে। এই স্টেডিয়ামে খেলা দেখার অনেক স্মৃতি আমার আছে। সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব পাওয়ার পর এই স্টেডিয়ামকে একটি আধুনিক স্টেডিয়াম হিসেবে রূপান্তর করেছেন।
চসিক মেয়র হিসেবে আমি তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। অন্যদিকে তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান মরহুম ফজল করিম একজন কৃতিমান খেলোয়াড় হিসেবে চট্টগ্রামে খেলোয়াড় তৈরিতে যে অবদান রেখেছেন তাও স্মরণযোগ্য।
তিনি বলেন, যে কোন খেলায় অংশ নিয়ে জয় পরজয়কে মেনে নেয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এটিই ক্রীড়াবিদদের জন্য বড় অর্জন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একাদশকে সেই মানসিকতা নিয়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে সচেষ্ট হওয়ার আহবান জানান তিনি।
মেয়র আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামে সিজেকেএস প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লীগ-২০২১ অংশগ্রহণের জন্য প্র্যাকটিস ম্যাচ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক ক্রীড়া স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আতাউল্লাহ চৌধুরী, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর ড. নিছার আহমদ মঞ্জু, হাসান মুরাদ বিপ্লব, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা, ক্রীড়া একাদশের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, মো. মানিক, কৃষ্ণ কমল সেন, রিপন কিশোর রায়, শামিম বিল্লাল, মুজিবুর রহমান, চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী সহ খেলোয়াড় বৃন্দ।
মেয়র বলেন, গত কয়েক দশকে চট্টগ্রামে খেলোয়াড়দের জন্য কোন মাঠ তৈরি হয়নি বরং আগে যা ছিল তা আরো সংকুচিত হয়ে গেছে। তারুণ্যের ক্রীড়ার প্রতি ভালোবাসা কাজে লাগাতে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ছোট পরিসরে হলেও খেলার মাঠ তৈরির পরিকল্পনা আছে বলে তিনি জানান।
পরে তিনি ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের প্যাচওয়ার্কের কাজ পরিদর্শনে করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসমাইল সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।