প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
আলঝেইমার্স রোগে স্মৃতিশক্তি লোপ পায় বলে মন্তব্য করেছেন ৪শ শয্যার বহুমুখী বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র ইমপেরিয়াল হাসপাতালের (আইএইচএল) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। তিনি বলেন, আলঝেইমার প্রতিরোধে মাছের তেল বিশেষ কার্যকর। কারণ মাছের তেল মানুষের স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় ‘বিশ্ব আলঝেইমার্স দিবস’ উপলক্ষে হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। আসুন স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও আলঝেইমার্স রোগ সম্পর্কে জানি- এ স্লোগানকে সামনে রেখে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে দিবসটি পালিত হয়েছে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, বয়সের সাথে সাথে স্মৃতিভ্রংশতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ও হার বাড়তে থাকে। যেসব রোগের কারণে স্মৃতিলোপ হতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আলঝেইমার্স রোগ।
তিনি বলেন, ইমপেরিয়াল হাসপাতালে নিউরো মেডিসিন, ইন্টারভেন্সান নিউরোলজি, নিউরো সার্জারি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন, ইমার্জেন্সি মেডিসিন, এনেস্থেসিয়া বিভাগ সমূহের সমন্বয়ে ‘স্ট্রোক সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়াও ইমপেরিয়াল হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগ ইন্টারভেন্সান নিউরোলজি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে মস্তিষ্কের রক্তনালির জমাট বাঁধা রক্ত সারিয়ে তোলার অপারেশান শুরু করতে যাচ্ছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি উল্লেখ করেন- ওয়ার্ল্ড আলঝেইমার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে নতুন করে সেকেন্ডে ৬৮ জন এবং ৬৫-ঊর্ধ্ব প্রতি ৯ জনে একজন করে আলঝেইমার্স রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বাংলাদেশে এ রোগে ঠিক কত মানুষ আক্রান্ত- সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৬৫-এর বেশি বয়সী শূন্য দশমিক ১ শতাংশ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত।
সেমিনারে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তৌসিফুল হক বিভাগের বর্তমান কার্যক্রম ও নিউরোলজি চিকিৎসায় ইমপেরিয়াল হাসপাতালের সুযোগ সুবিধার উপর একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
হাসপাতালের একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর ডা. এ কে এম আরিফ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. দিল আনজিজ। সমাপনি বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের সিএমও অধ্যাপক ডা. তারেক আল নাসির।