চট্টগ্রামের সময় নিউজঃ
চলতি বছরে মাত্র ৬ মাসে দেড় শতাধিক পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। পাথর নিক্ষেপকারীর তথ্য দিলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে রেলওয়ে পুলিশ। জনসচেতনতার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানে ট্রেনলাইনকেন্দ্রিক মানুষ চলাচল বন্ধের তাগিদ দিয়েছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা।
নিরাপদ বাহন হিসেবে যাত্রীদের পছন্দের শীর্ষে রেলওয়ে। অথচ আরামদায়ক এই বাহনে যাত্রীদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাথর নিক্ষেপ। চলার পথে হঠাৎ করে আতঙ্ক হয়ে ছুটে আসছে পাথর। ভাঙছে জানালার কাচ। আহত হচ্ছেন যাত্রীরা, ঘটছে মৃত্যুও। চলতি বছরেই দেড় শতাধিক পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
যাত্রীরা বলছেন, দুর্বৃত্তদের কারণে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রেলযাত্রা।
রেলযাত্রী এক যুবক বলেন, আমার মা জানালার পাশে বসা ছিল পাথর এসে হাতে লেগেছে। ভাগ্য ভালো ছিল যে মাথায় লাগেনি, ইঞ্জিনচালক সেও রেহায় পাননি এ পাথন নিক্ষেপ থেকে।
রেল পুলিশ বলছে, রেললাইনের পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বস্তি, দোকানপাট ও নানা স্থাপনার আশপাশ থেকে ছোড়া হয় পাথর। পাথর নিক্ষেপের ঘটনা সবচে বেশি ঘটে সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটে।
ওই সব এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি পাথর নিক্ষেপকারী সম্পর্কে তথ্য দিলে ১০ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে রেল পুলিশ।
ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, কেউ পাথর ছুড়েছে, এমন দেখলে কেউ ছবি তুলে আমাদের দিতে পারেন, অথবা প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বলতে পারেন আমাদের এক্ষেত্রে আমরা নগদ ১০ হাজাার টাকা দেওয়ার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থায়ী সমাধানে বেশি বেশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি রেলবান্ধব ট্রেনের পথ নির্মাণের পরামর্শ যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, রেলের দুই ধারে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। কেউ যেন ওই অবকাঠামোর ধারের কাছে না আসতে পারে, সেগুলো আমাদের উৎপাদন বাড়াতে এবং নিরাপত্তা জন্য ব্যবস্থা করে নিতে হবে।
রেলআইন অনুযায়ী পাথর নিক্ষেপের অপরাধে সর্বনিম্ন ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অপরাধ বিবেচনায় যাবজ্জীবন আর কেউ মারা গেলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্ত এখন পর্যন্ত এই আইনে সাজা দেওয়ার কোনো নজির।