চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির বন্দি নম্বর-৫০৯ আহমদ হোসেন (৫৫) নামে ৩৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদি বুকের ব্যাথায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ।
গত মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মারা যাওয়া আহমদ হোসেন লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া ইউনিয়নে দুর্লভের পাড়ার মৃত আমিন শরীফের ছেলে। সে গত ২০১৬ সালের ২৭ জুন থেকে কারাগারে কয়েদি হিসেবে তিনি বন্দি ছিলেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, আদালত ২০১৬ সালের ২৭ জুন আহমদ হোসেনকে কারাগারে পাঠান। পটিয়া থানার-৪০ (৬)১৬, জি আর-১৬৪/১৬ মামলায় চট্টগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল রায়ে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর লোহাগাড়া থানার মামলা নম্বর ৬(৭)৯৩, জি আর-৪৬/৯৩ ও দায়রা মামলা নম্বর-২৬৭/৯৭ অতিরিক্ত জেলা জজ দেউলিয়া বিষয়ক আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আর ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন আহমদ হোসেন ।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের জুনে একটি মামলায় ৫ বছরের সাজা নিয়ে তিনি কারাগারে আসেন। ১৯৯৩ সালে অন্য একটি মামলায় তার ৩০ বছর তথা যাবজ্জীবন সাজা পরোয়ানা কারাগারে আসে।
সবমিলিয়ে তার ৩৫ বছর সাজা ছিল। আহমদ হোসেন কয়েদি হিসেবে পদ্মা-১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দি ছিলেন। মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ওয়ার্ডে হঠাৎ অসুস্থ হলে দ্রুত কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কারা হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা সত্বেও শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।