হাসান কোরাইশী (লিসবন) প্রতিনিধিঃ
………………………….
বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন গত ০৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারতের স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তী উদপযাপন উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠন “ভূমি” কর্তৃক আয়োজিত “Colours of Independence” শীর্ষক এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
লুসোফোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান এবং ভারতের রাষ্ট্রদূত শ্রী মানীষ চৌহান উপস্থিত ছিলেন।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ অনুসরণ করে উভয় দেশ এবং পর্তুগালের ১০০ জন আমন্ত্রিত অতিথি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রদূতগণ, লুসোফোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব-প্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক এবং “ভূমি” সভাপতি স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মহোদয় তাঁর বক্তৃতায় স্বাধীনতার জয়ন্তী উপলক্ষ্যে সমবেত সকলকে অভিনন্দন জানান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর কথা উল্লেখ ক’রে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের শহীদান, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন এবং নির্যাতিত নারী-পুরুষগণের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন যে, জাতির পিতা দারিদ্র্য-মুক্ত, ন্যায্যতা-ভিত্তিক, মানবিক ‘সোনার বাংলা’ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাকে অনুসরণ করেই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, বর্তমানে বাংলাদেশ মানব-কেন্দ্রিক উন্নয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের সর্বাত্মক সমর্থন, এক কোটি শরনার্থীকে আশ্রয় দেয়া আর যুদ্ধক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মিত্রবাহিনীর রক্ত দেয়ার কথা রাষ্ট্রদূত কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক সময়ে আর্থ-সামাজিক খাতে অর্জিত উন্নয়নের উপর নির্মিত প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শিত হয়।
এরপর দুই দেশের শিল্পীদের অংগ্রহণে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশত হয়। এতে বাংলাদেশের ব্যান্ড দল “অফ ট্রাক” স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিখ্যাত গান “শোনো একটি মুজিবরের থেকে” পরিবেশন করে। এছাড়াও, বাংলাদেশী নৃত্য শিল্পীদের উপস্থাপনায় দেশাত্মবোধক, লোক এবং আধুনিক ধারার একক ও দলীয় নৃত্য পরিবেশিত হয়।
এছাড়াও মিলনায়তন প্রাংগণে স্থাপিত বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ঐতিহ্যবাহী মসলিন, জামদানি শাড়ি, টেরাকোটা, নকশীকাঁথা, পাটজাত দ্রব্য সহ অন্যান্য হস্তশিল্পজাত পণ্য প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণকে রকমারী দেশীয় খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।