চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের ভয়ে সাগরে বোট নিয়ে মাছ ধরতে পারছে না। জলদস্যুদের বিরুদ্ধে জেলেরা থানায় এবং আদালতে মামলা করার পর জেলেদের হত্যার হুমকি সহ বিভিন্নভাবে ভয় দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।জলদস্যুরা গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মনছুর আহমদ(৫৫) এর নেতৃত্বে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের বিশাল এক জলদস্যু সিন্ডিকেট।
সিন্ডিকেটটি সাগরে ডাকাতি, জেলেদের মাছ ও বোট লুটপার্ট, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।
জলদস্যু গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে মাহফুজ(৫৫),ফোরকান(৩৫), রায়হান(২০), খালেক(৫৫), কামাল(৩২), শাহজাহান(৩০), ইদ্রিস প্রকাশ বড় বাদশা(৪০), বাইশ্যা(৪২), বিশাল এক জলদস্যু সিন্ডিকেট। জলদস্যু চক্রটি গত ৭ আগস্ট ও গত ১৪ আগস্ট দুুই দফায় বোটের মাঝি হরিলাল ও জেলেদের মারধর করে এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
বোটের মাঝিকে মারধর করে সাগরে ফেলে দিয়ে ১২টি বোট ছিনতাই করে। সাগরে মাছ ধরতে হলে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সাগরে জলদস্যুদের মাছ লুচপাট ও বোট ছিনতাই ও মারধরের ঘটনায় বোটের মালিক উপকুলীয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি সালাউদ্দীন কাদের মানিক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত, বাঁশখালীতে গত ২২ আগস্ট ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন সময় র্যাব পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছে। বর্তমানেও পলাতক আছে। বাঁশখালী থানার সেকেন্ড অফিসার আকতার হোসেন জানান, সরলে জেলেদের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে একটি ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।
এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনছুর আহমদ জানান, যে মামলাটি করেছে এটা পুরো মিথ্যা মামলা।