চট্টগ্রামঃ
জলপ্রবণ এলাকাগুলোর প্রতিবন্ধকতা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অপসারণের অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল মঙ্গলবার একগুচ্ছ প্রস্তাবনা নিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যানের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।
তিনি বলেন, সিডিএর অধীনে নগরীতে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান থাকায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে নগরীর বন্দরটিলা থেকে সল্টগোলা ক্রসিং এবং বারিক বিল্ডিং থেকে দেওয়ানহাট পর্যন্ত মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
ভাঙা রাস্তাঘাটে যান ও জনগণের চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তা আপাতত চলাচল উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
কিন্তু জলাবদ্ধতার সুফল পেতে নগরবাসীকে আরো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে সকল এলাকায় পানি জমে যেমন ২ নং গেট, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটে জলজটের সৃষ্টি হয়, সেসব এলাকার প্রতিবন্ধকতাসমূহ দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য সিডিএ চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানান তিনি।
মহেশখাল ও চাক্তাই খালের স্ল্যুইচগেটের কাজ যদি সঠিক সময়ে শেষ করা যায় তাহলে নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়া পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বিশ্রামাগার ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করা, সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখা, নিরাপত্তার আওতায় আনা এবং ভাটিয়ারীতে একটি টার্মিনাল স্থাপনের দাবি জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের ভেতরে কোনো পার্কিং স্পেস নেই।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের সম্মুখের জায়গা অব্যবহৃত পড়ে আছে। রেলওয়ের সাথে আলোচনা করে সেখানে বহুতল পার্কিং নির্মাণ করলে শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। বড়পুল-চৌচালা সংযোগ সড়কটির কাজও দ্রুত শুরু করার আহ্বান জানান তিনি।
এ রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন হলে মূল শহরকে বাদ দিয়ে বিমানবন্দর ও ইপিজেডগামী যাত্রীরা শহরে প্রবেশ করতে পারবে। ইপিজেড লাগোয়া পরিত্যক্ত রেললাইনের জায়গাটি অধিগ্রহণ করে ইপিজেড বাইপাস সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে সিডিএ চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে সিডিএ করোনাকালেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসমূহ চলমান রেখেছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলাকালীন যে সকল সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেগুলো দ্রুত সমাধান করার জন্য প্রকৌশলীদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজেও যেখানে প্রতিবন্ধকতা আছে সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, রুহুল আমিন তপন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান, অনির্বাণ দাশ বাবু, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, সমীর মহাজন লিটন, রকিবুল আলম সাজ্জী, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু প্রমুখ।