উখিয়া প্রতিনিধিঃ
নিজেকে কখনও এডিসি, কখনও এএসপি হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। কিন্তু আর শেষ রক্ষা হলো না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের ভুয়া এএসপিসহ তিন জনকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ৮- ইস্ট ক্যাম্প থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ক্যাম্প-৮ ইস্টের চেকপোস্টে এপিবিএন পুলিশ সদস্যদের সিগনাল অমান্য করে একটি মাইক্রোবাস সামনের দিকে যায়।
গাড়ির সামনে ও পেছনে ‘পুলিশ’ স্টিকারযুক্ত গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-৮৬৭৩) ৮-ইস্টের ক্যাম্প ইনচার্জ অফিসের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। পুলিশ সদস্যরা সেখানে এসে গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের নাম পরিচয় জানতে চান।
এসময় গাড়িতে থাকা একজন নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের ৩৪ তম বিসিএস পুলিশের এএসপি পিয়াল বলে পরিচয় দেন। গাড়িতে থাকা লোকজনের কথাবার্তায় সন্দেহজনক হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ঐ ব্যক্তি স্বীকার করে সে পুলিশ সদস্য নয়। গাড়িতে থাকা অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদে তার প্রকৃত নাম এবং পরিচয়, মো. আহসান ইমাম (৩৩), পিতা- মো. শাহজাহান মোল্লা, গ্রাম- বরফা পশ্চিম শুকতাইল, পোস্ট- বরফা, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ বলে জানা যায়।
ঐ ব্যক্তি নিজেকে কখনও এডিসি, কখনও এএসপি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে বলেও জানা গেছে।
অন্য আটকরা হচ্ছে, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মো. মনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. মানসুর রহমান (২৯) ও পটুয়াখালীর গলাচিপার মো. আব্দুল হক শিকদারের ছেলে মো. মিন্টু (৩০)।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। অন্য একটি সূত্র মতে, আটক ব্যক্তিরা পুলিশ পরিচয়ে ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে সংঘবদ্ধ ইয়াবা পাচারকারী চক্রের সদস্য।