ড. শিরীণ আখতারঃ
আগস্ট মানেই বাঙালির শোকের মাস। কান্নাভেজা অশ্রুসিক্ত রক্তাক্ত অধ্যায়ের অন্যনাম ১৫ আগস্ট। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় রাত এটি। যে রাতে স্ত্রী-সন্তানসহ সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বীরের জাতির পিতা বীরের মতো মৃত্যুবরণ করেছেন। সেদিক দিয়ে বাঙালি জাতির ট্র্যাজেডির মহানায়কও তিনি।
বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে এমন আরেকজন মহান নেতার আর্বিভাব ঘটেনি। শোকে স্তব্ধ জাতি সেদিন কাঁদতে চেয়েও পারেনি। প্রকৃতি কেঁদেছিল; মানুষ কাঁদতে পারেনি। ঘাতকের উদ্ধত সঙ্গিন তাদের কাঁদতে দেয়নি। বাংলার প্রতিটি ঘর থেকে এসেছিল চাপা দীর্ঘশ্বাস।
কেঁদেছিল আকাশ-বাতাস। এ অনুভূতি ছিল শোকের। পিতা হারানোর শোক। কী নিষ্ঠুর, কী ভয়াল, কী ভয়ঙ্কর-সেই রাত। যা ৪১ বছর পরও বাংলার জনগণ ধূলিকণা পরিমাণও ভুলতে পারেনি। ভুলতে চায়নি, ভুলতে পারবে না। মুজিবকে হারিয়ে সেদিন হেরেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্বাপর দুটি ঘটনা কোনোভাবেই সাধারণ চোখে দেখার সুযোগ নেই। একটি হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যটি পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা।
তাই মুক্তিযুদ্ধকে অবহেলার চোখে দেখা ও বিবেচনা করা যেমনটি অন্যায় ঠিক তেমনি পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টকেও অবজ্ঞার চোখে দেখা অন্যায়। বাঙালি কতটা লোভী ও ক্ষমতান্ধ হলে এমন নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটাতে পারে তা ভাবতেও গা শিউরে ওঠে। বছর ঘুরে রক্তের কালিতে লেখা সে দিন-রাত আবার ফিরে এসেছে। কবি শামসুর রাহমানের কথায় উচ্চারণ করি―
‘ধন্য সেই পুরুষ, যার নামের উপর রৌদ্র ঝরে/ চিরকাল গান হয়ে/ নেমে আসে শ্রাবণের বৃষ্টিধারা/ যার নামের উপর কখনো ধুলো জমতে দেয় না হাওয়া/ ধন্য সেই পুরুষ যার নামের উপর ঝরে/ মুক্তিযোদ্ধাদের জয়ধ্বনি।’
‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ দুটি নাম, একটি ইতিহাস।
উভয়ে যেন মুদ্র্রার এপিঠ আর ওপিঠ। একটি ছাড়া অন্যটি যেন মূল্যহীন। দুটি শব্দ একে অপরের পরিপূরক, যা আজ ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। যুগে যুগে কিছু মহাপুরুষ পৃথিবীতে আসেন কোনো কোনো জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে। বঙ্গবন্ধুও তেমনি একজন।
মহাপুরুষদের মধ্যে মানবিকতা ও সরলতা এ দুটি গুণ অতিমাত্রায় থাকে, যার কারণে দেশ এবং দেশের মানুষের প্রতি থাকে তাদের সীমাহীন দরদ, আস্থা ও ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধুরও ছিল তেমনি। এই আস্থা ও ভালোবাসা যেমন জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে এনেছিল আবার তেমনি তার নিজের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ভাষায়―‘বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন সেই মানুষ, যিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তাঁর মধ্যে একজন নেতার সব রকম গুণাবলি ছিল। তাঁর মধ্যে যেটি ছিল না, সেটি হচ্ছে কূটবুদ্ধি।
তিনি মানুষকে খুব সহজেই বিশ্বাস করতেন। যার জন্য তাঁকে জীবন দিতে হয়েছিল।’ সাধারণ মানুষকে কাছে টানা ও সম্মোহন করার ক্ষমতা ছিল তাঁর অসীম। এমন অসীম ক্ষমতার অধিকারী মানুষ বাংলাদেশে আর একজনও জন্মগ্রহণ করেননি।
অথচ আমরা বাঙালি জাতি এতটাই অকৃতজ্ঞ যে যিনি আমাদের স্বাধীনতা ও জাতিরাষ্ট্রের স্বীকৃতি এনে দিলেন ও প্রতিষ্ঠা করলেন আর আমরা তাঁকেই সপরিবারে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করলাম। দেখলাম স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির রক্তে রঞ্জিত লাশ সিঁড়ির ওপর পড়ে রইল! বলার অপেক্ষা রাখে না, ইতিহাসের এই নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডটি ছিল একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনারই অংশ।
সদ্য স্বাধীন দেশ গঠনে যখন সরকার ব্যস্ত, তখনই হত্যা করা হলো দেশের স্থপতিকে। এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল দেশকে অস্থিতিশীল করার, ভিন্ন পথে ধাবিত করার এক গভীর ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি যেমন ছিল, তেমনি ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিতে লুকিয়ে থাকা কিছু সুযোগসন্ধানী ও নিচু মানুষ।
স্বাধীনতার পর থেকেই সুযোগ খুঁজতে থাকে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র, নানা ছত্রচ্ছায়ায় তারা সংগঠিত হতে শুরু করে। আর তাদের সঙ্গে হাত মেলায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী কিছু আন্তর্জাতিক শক্তি।
আর তারই শিকার হন শেখ মুজিবুর রহমান। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনা কেবল একজন ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারকে হত্যার প্রয়াস ছিল না, ছিল জাতির স্বাধীনতার স্বপ্নকেই হত্যার অপচেষ্টা। ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে খুন করে তারা একটি আদর্শকে খুন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আদর্শের মৃত্যু নেই―এই সত্যটি তারা উপলব্ধি করতে পারেনি।
বস্তুত পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট বাংলাদেশ নামক কল্যাণ রাষ্ট্রটির হত্যারই একটি অপচেষ্টা, ঘাতকের এটা জানা ছিল যে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতে সামরিক সন্ত্রাস, উগ্র-মৌলবাদ আর সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যের বাংলাদেশ তৈরি সম্ভব নয়। বাংলাদেশ দশকের পর দশক ধুঁকে ধুঁকে মরেছে।
আর আকাশে ধ্বনিত হয়েছে খুনিদের উল্লাস ও আস্ফালন। তাই বাঙালি জাতীয়তাবাদের মতো লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত রাষ্ট্র বাংলাদেশেরও মৃত্যুঘণ্টা বাজানোর চেষ্টা হয় ওই দিন।
বাংলাদেশের ভিত্তি যে শাসনতন্ত্র তা ভূলুণ্ঠিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয় তখনই। তাই একুশ বছর হীন চক্রান্ত করে ঠেকিয়ে রাখা হয় আওয়ামী লীগকে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়াকেও তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিলম্বিত করেছিল।
একাত্তরের ঘাতকদেরকে বসানো হয়েছে রাষ্ট্রক্ষমতায়। তাই এই অমানবিক হত্যাকাণ্ডকে বাংলাদেশের হত্যাকাণ্ডই বলা চলে। বাংলাদেশের মূলনীতিগুলোকে হত্যা করার অপচেষ্টা। পঁচাত্তরের ঘাতকদের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল বাঙালি ও বাংলাদেশকে অভিভাবকহীন করা।
ফিদেল কাস্ট্রো তাঁর মৃত্যুতে বলেছিলেন―শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।’ ইংলিশ এম.পি. জেমস লামন্ড বলেছিলেন―‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশই শুধু এতিম হয়নি বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তানকে।’
পশ্চিম জার্মানী পত্রিকা লিখেছিলেন―‘শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুইয়ের সাথে তুলনা করা যায়। জনগণ তাঁর কাছে এত প্রিয় ছিল যে লুইয়ের মত তিনি এ দাবী করতে পারেন আমিই রাষ্ট্র।’ বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, জনগণের প্রতি ভালোবাসা আর একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।
যতদিন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি পৃথিবীর বুকে পরিচিত থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীর বুকে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বিংশ শতাব্দীর বাঙালির নবজাগরণের প্রতিভূ বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রধান পুরুষ তিনি। বাঙালির আত্মপরিচয়ের সংকট মোচনে তার অবদান বিশ্বস্বীকৃত।
কিন্তু এমন মানুষটিও স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের কবল থেকে তিনি বাঁচতে পারেননি। তবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে শারীরিক বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে দিয়ে জনগণের সার্বভৌমত্বের ক্রিয়াশীলতা সাময়িকভাবে থমকে দেয়া সম্ভব হলেও, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনা’ শাশ্বত কারণে খুনিচক্র তা চিরতরে স্তব্ধ করতে পারেনি।
কারণ তিনি জনগণের নেতা ছিলেন, জনসমর্থনই ছিল তাঁর মূল প্রেরণা। অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত বলেন―‘তিনি বিশ্বাস করতেন জনগণ এবং কেবল জনগণই ইতিহাস সৃষ্টি করতে সক্ষম―নেতৃত্ব সেখানে উপলক্ষ মাত্র। যে কারণে বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিটি ছিলেন মানুষের প্রতি নিঃশর্ত আস্থা, বিশ্বাস, ভালোবাসা, মমত্ববোধ, সহমর্মিতা, মহানুভবতাসহ দেশপ্রেমের যত রূপ আছে সবকিছুর একিভূত এক বিরল সত্তা।’
বঙ্গবন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ী এমন এক বীরের নাম, যিনি জীবনের শেষক্ষণেও ছিলেন দৃঢ়চেতা। তার মৃত্যুর মধ্যদিয়ে মৃত্যু ঘটে একজন মহান জাতীয়তাবাদী নেতার।
বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন সেই মানুষ যাঁর জীবন ও কর্ম সফল করেছে ক্ষুদিরাম-প্রীতিলতা-সূর্যসেন থেকে সালাম-বরকত-রফিক কিংবা ঊনসত্তরের শহীদ আসাদের আত্মদানকে। তিনিই একমাত্র নেতা যিনি একই সাথে বাঙালির অতীত ও ভবিষ্যতকে তাৎপর্যপূর্ণ করেছেন। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই।
কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের পথিকৃত হিসেবে মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রাম করে বাংলার মাটি ও মানুষের সাথে আজো তিনি মিশে আছেন। স্বাধীন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি। তাই যতদিন বাংলার মানচিত্র থাকবে, যতদিন বাঙালির ইতিহাস থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবেন অমর-অবিনশ্বর।
বাংলার স্বাধীনতা, ভাষা, সমাজ, সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে একজন শ্রেষ্ঠ বাঙালিরূপে বঙ্গবন্ধু থাকবেন চিরজাগ্রত। কোটি কোটি বাঙালির মনে তিনি চিরভাস্বর, বাঙালি জাতির প্রাত্যহিক জীবনের প্রণম্যপুরুষ তিনি।
বাঙালি জাতির সৌভাগ্য শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন অসাধারণ নেতা পেয়েছিল। সাহস, শৌর্য-বীর্য, দূরদর্শিতা, যোগ্যতা ও দেশপ্রেমে তার কোনো তুলনা হয় না। পাকিন্তানের ২৩ বছরে বহুবার তিনি জেলে গেছেন। আজকের দিনের রাজনীতিকদের মতো তিনি পালিয়ে বেড়ানোর রাজনীতি করতেন না।
সত্যিকার অর্থেই দেশ ও দেশের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন শেখ মুজিব। বাংলার মানুষ ভালোবেসে তাকে উপাধি দিয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু’। তাইতো বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও ইতিহাসের মহানায়ক হিসেবে ঠাঁই পেয়েছে।
এখান থেকে স্থানচ্যুত করার অপপ্রয়াস লক্ষ্য করা গেছে ১৯৭৫ সালের রাজীনতিক পরিবর্তনের পর। এজন্য নতুন প্রজন্ম বিভ্রান্ত হয়েছিল। সময়ের ব্যাপ্তিতে বঙ্গবন্ধুর ঔজ্জ্বল্য স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছে।
পাশাপাশি পরাজিত ও ঘৃণ্য অপশক্তি স্বাধীন দেশের ইতিহাস, দেশের অগ্রযাত্রা ও বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় কীর্তিকে ব্যাহত করতে চেয়েছিল পরিকল্পিত ভাবে। যতদিন যাচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর মহিমান্বিত কীর্তি ততই উজ্জল হয়ে উঠেছে এবং উঠছে।
বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনের পরিব্যাপ্তি ছিল বাঙালি জাতিসত্তায়। তিনি মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের দু:খ-দুর্দশার সাথী হয়ে মানুষের মধ্যে অমর হয়েছেন। অহিংসা দিয়ে, মানবপ্রেম দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে সমাজে যে আদর্শ তিনি তৈরি করে গেছেন তার কোনো মৃত্যু নেই, ক্ষয় নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোনো ব্যক্তি, পরিবার কিংবা দলের সম্পদ নন। তিনি গোটা জাতির অহংকার। কিন্তু আমরা তাঁকে প্রকৃত সম্মান দিতে পারিনি আমাদের সংকীর্ণতার কারণে। জাতি হিসেবে সম্ভবত একমাত্র আমরাই তাঁকে তাঁর প্রাপ্ত সম্মান দিতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছি নানা দল ও মতে। যে মাটিতে জাতির জনককে হত্যা করা হয়েছিল, সেই মাটিই তার দায় শোধ করেছে এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের ঐতিহাসিক বিচার সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে।
তাঁকে নিয়ে যত দ্বিধাই থাকুক―জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব আরো বেশি প্রেরণার উৎসে পরিণত হয়ে উঠলেন, জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী, চিরস্থায়ী ও চিরঅম্লাান। যতদিন বাংলাদেশ টিকে থাকবে ততদিন তার নাম-নিশানা কেউ মুছে ফেলতে পারবে না হাজার চেষ্টাতেও।
বাঙালির চেতনায়-মননে-জীবনে বঙ্গবন্ধু স্পন্দিত নাম। মূলতঃ তাঁর চেতনার প্রভাব শতাব্দী থেকে শতাব্দী প্রসারিত হয়েছে এবং আগামীতেও বহমান থাকবে।
এদেশের মানুষের অন্তরে তখনও তিনি জাগ্রত, এখনও। তাঁর কণ্ঠস্বর শাশ্বত ন্যায়ের গতিপথে বিকশিত। বঙ্গবন্ধু বাঙালির আপন ঘরের মানুষ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধায় তিনি পুণ্যাত্মা।
লেখক : উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। কথাসাহিত্যিক ও গবেষক।