সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামের নায়েবে আমীরসহ ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে আইআইইউসি’র অধ্যাপক ড. হুমায়ন কবির বাদি হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর নায়েবে আমীর আ ন ম শামসুল ইসলাম, আইআইইউসির প্রফেসর আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আমিরুজ্জামান, প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী, অধ্যাপক একেএম গোলাম মহিউদ্দিন, অধ্যাপক মো. ড. আলী আজাদী, তৌফিকুর রহমান, মো. কামাল উদ্দিন, প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও আবদুল খালেক।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, আইআইইউসি মেয়াদোত্তীর্ণ বোর্ড অব ট্রাস্টি পরিবর্তন করে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. আবু রেজা নদভীকে ট্রাস্টির চেয়ারম্যান করে নতুন কমিটি গঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
কমিটি পরিবর্তনের পর থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম অবস্থায় পড়তে হয়েছিল তাঁদের। আইআইইউসির অর্থ সংকটের বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে অডিট কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি ২০১৭-২০১৮ সাল ও ২০২০-২০২১ সালের হিসাব অডিট করে প্রায় ১৫ কোটি টাকা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। মামলায় অভিযুক্তরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়েছেন।
মামলার বাদি আইআইইউসি’র অধ্যাপক ড. হুমায়ন কবির বলেন, আইআইইউসি পরিচালনায় সরকার গঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়োজিত অডিট কমিটি অডিট করে প্রায় ১৫ কোটি টাকার গড়মিল পেয়েছে।
টাকাগুলো যে সময়ে গড়মিল হয়েছে, সে সময় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমীর শামসুল ইসলাম, আহসান উল্লাহ ছিলেন অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান, মাহবুবুর রহমান ব্যবসায় অনুষদের ডিন এবং কামাল উদ্দিন একটি বিভাগের পরিচালক। অডিটে গড়মিল পাওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেছি।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আইআইইউসির অধ্যাপক ড. হুমায়ন কবির বাদি হয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াতের নায়েবে আমীরসহ ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।