রাশেদ রউফ;
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন এক অগ্নিশিখার নাম, যেটি দেশপ্রেমের চিরন্তন আলোয় প্রজ্বলিত। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততা, মেধা, মমত্ববোধ ও অসামান্য নেতৃত্বের কারণে তিনি জাতিসত্তার প্রতীক হয়ে আছেন। মৃত্যুকে পরোয়া না করে তিনি গোটা বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করেছিলেন স্বাধীনতার মন্ত্রে।
বাঙালির আর্থসামাজিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রথম ও প্রধান মানবিক দর্শন ছিলো ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’।
তিনি ছিলেন আজন্ম অসাম্প্রদায়িক। ছাত্রজীবন থেকে তিনি সামপ্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে কিশোর বয়সের কথা লিখতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমার কাছে তখন হিন্দু-মুসলমান বলে কোনো জিনিস ছিল না। হিন্দু ছেলেদের সঙ্গে আমার খুব বন্ধুত্ব ছিল।’
বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবনে কতোটা অসাম্প্রদায়িক ছিলেন, তার চিত্র পাওয়া যায় ভারতের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ভবতোষ দত্তের স্মৃতিচারণে। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের তৎকালীন অধ্যাপক ভবতোষ দত্ত তাঁর ‘ষাট দশক’ শিরোনামের বইয়ে লিখেছেন, ‘ইসলামিয়ার ছাত্ররা যে আমাদের জন্য কতটা করতে পারত তার প্রমাণ পেলাম ১৯৪৬-এর রক্তাক্ত সামপ্রদায়িক দাঙ্গার সময়।
বালিগঞ্জ থেকে ইসলামিয়া কলেজের রাস্তায় পদে পদে বিপদ। এই রাস্তা আমাদের ছাত্ররা পার করে দিত। ওরা বালিগঞ্জের কাছে অপেক্ষা করত আর সেখান থেকে ওয়েলেসলি স্ট্রিটে কলেজে নিয়ে যেত। আবার সেভাবেই ফিরিয়ে দিতে যেত।
এখানে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি ইসলামিয়া কলেজের সেই সব মুসলমান ছাত্রকে যারা আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে বিপজ্জনক এলাকাটা পার করে দিতেন। এই ছাত্রদের একজনের নাম ছিল শেখ মুজিবুর রহমান।’
বঙ্গবন্ধু সব সময় কামনা করতেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। তিনি মনে প্রাণে চাইতেন এমন একটি দেশ- যে দেশে থাকবে না ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ-বিভাজন, সব নাগরিকই নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে।
ছয় দফা দাবি পেশ করার পরে তাঁর ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘ছয় দফা মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধদের নিয়ে গঠিত বাঙালি জাতির স্বকীয় মহিমার আত্মপ্রকাশ আর নির্ভরশীলতা অর্জনের চাবিকাঠি।’
তিনি ধারণ করেছিলেন এমন এক সত্তা, যেটি ছিলো ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে মানব জীবনের বেঁচে থাকার অমোঘ প্রত্যয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যখন মুক্তিযুদ্ধ চলছিলো, তখন বাংলাদেশ সরকার একটি পোস্টার প্রকাশ করে।
তাতে লেখা ছিলো : ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খৃষ্টান, বাংলার মুসলমান-আমরা সবাই বাঙালি।’ এখানে সবাইকে এককাতারে বাঙালি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, ‘ব্যক্তিগত জীবনে নিষ্ঠাবান মুসলিম এবং সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ দর্শন ছিল বাংলার মানুষের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কয়েকটি গৌরবজনক কাজ সম্পন্ন হয়েছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে শাসনতন্ত্র বা সংবিধান প্রণয়ন। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দেন তাতেও ছিল ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী।
তিনি বলেছিলেন- ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মকর্ম করার অধিকার থাকবে। আমরা আইন করে ধর্মকে বন্ধ করতে চাই না এবং করব না। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রে কারও নাই।
হিন্দুরা তাদের ধর্ম পালন করবে, কারও বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নাই। বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের কেউ বাধাদান করতে পারবে না। খ্রিস্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, কেউ বাধা দিতে পারবে না। আমাদের শুধু আপত্তি হলো এই যে ধর্মকে কেউ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না।
২৫ বছর আমরা দেখেছি, ধর্মের নামে জুয়াচুরি, ধর্মের নামে শোষণ, ধর্মের নামে বেইমানি, ধর্মের নামে অত্যাচার, ধর্মের নামে খুন, ধর্মের নামে ব্যভিচার-এই বাংলাদেশের মাটিতে এসব চলেছে। ধর্ম অতি পবিত্র জিনিস।
পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না। যদি কেউ বলে যে ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে, আমি বলব ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়নি। সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্থা করেছি।’
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে নানা রকম ষড়যন্ত্রের কথা বঙ্গবন্ধু আঁচ করতে পেরেছেন, দেশ যে একটা বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে রয়েছে তা অনুধাবনও করেছিলেন। তবে তিনি বিশ্বাস করতেন যে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের কাক্সিক্ষত পথে তাদের নিয়ে এগোনো সম্ভব।
১৯৭২ সালেই খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াসের ‘কতিপয় প্রশ্নের জবাবে’ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তাঁর নিজের চিন্তা সম্পর্কে : ‘ছাত্রজীবন থেকে আজ পর্যন্ত আমার এ সুদীর্ঘকালের রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রাম কতিপয় চিন্তাধারার ওপর গড়ে উঠেছে।
এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, মধ্যবিত্ত, বুদ্ধিজীবী তথা সব মেহনতি মানুষের জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সাম্য প্রতিষ্ঠাই আমার চিন্তাধারার মূল বিষয়বস্তু। একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম। কাজেই কৃষকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে আমি জানি শোষণ কাকে বলে।
এ দেশে যুগ যুগ ধরে শোষিত হয়েছে কৃষক, শোষিত হয়েছে শ্রমিক, শোষিত হয়েছে বুদ্ধিজীবীসহ সব মেহনতি মানুষ। এ দেশের জমিদার, জোতদার, মহাজন ও তাদের আমলা-টাউটদের চলে শোষণ। শোষণ চলে ফড়িয়া ব্যবসায়ী ও পুঁজিবাদের।
শোষণ চলে সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও নয়া-উপনিবেশবাদের। এ দেশের সোনার মানুষ, এ দেশের মাটির মানুষ শোষণে শোষণে একেবারে দিশাহারা হয়ে পড়ে। কিন্তু তাদের মুক্তির পথ কী? এই প্রশ্ন আমাকেও দিশাহারা করে ফেলে।
পরে আমি পথের সন্ধান পাই। আমার কোনো কোনো সহযোগী রাজনৈতিক দল ও প্রগতিশীল বন্ধুবান্ধব বলেন, শ্রেণিসংগ্রামের কথা। কিন্তু আমি বলি জাতীয়তাবাদের কথা।’
ধর্মনিরপেক্ষতার দর্শন ছিলো মানবতাবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত যুগোপযোগী। কেননা সামপ্রদায়িক মনোবৃত্তি সমাজের জন্য ক্ষতিকর। এটি সবসময় সমাজে বিষবাষ্প ছড়ায় এবং পরবর্তীকালে রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
বঙ্গবন্ধুর সেই ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির কারণেই আজ বাংলাদেশ সারাবিশ্বে অসামপ্রদায়িক, সভ্য দেশ হিসেবে বিশেষ মর্যাদার আসনে সমাসীন হতে সক্ষম হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অসামান্য মূল্যায়ন করেছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাঁর পরিচ্ছন্ন চিন্তা ও দৃষ্টির সম্পদ কেউ আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।
তাঁর সেই চিন্তাভাবনা আজ আমাদের বড় রকমের সহায় হতে পারে। উপমহাদেশ আজ আদর্শগত বিভ্রান্তির শিকার হয়ে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছে, এই দুর্দিনে পথনির্দেশ এবং প্রেরণার জন্য আমাদের বঙ্গবন্ধুর কাছে সাহায্য চাইবার যথেষ্ট কারণ আছে।’
শেখ মুজিবের চিন্তা এবং বিচার-বিশ্লেষণ যে সব দিক থেকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার অন্যতম হলো ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’। অমর্ত্য সেন বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবক্তা হিসেবে শেখ মুজিব ছিলেন অগ্রগণ্য। তাঁর দৃষ্টান্ত থেকে এই বিষয়ে সব দেশেরই শেখার আছে।
বর্তমান ভারতের পক্ষে তো বটেই, বঙ্গবন্ধুর ধারণা ও চিন্তা উপমহাদেশের সব দেশের পক্ষেই শিক্ষণীয়। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে বাংলাদেশ অনেক উত্থানপতনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তিনি কেমন বাংলাদেশ চান, বঙ্গবন্ধু সে কথা পরিষ্কার করে বলেছিলেন।
তাই আমরা খুব সহজেই ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাপারে তাঁর অবস্থানটা বুঝে নিতে পারি। এ-কথা জোর দিয়ে বলব যে, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং লোকেদের স্বক্ষমতা-র মধ্যে যোগসূত্রটি শেখ মুজিবকে প্রভূত অনুপ্রেরণা দিত (স্বক্ষমতা শব্দটি ইংরাজি ‘ফ্রিডম’-এর প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করছি)।
ইউরোপে ধর্মনিরপেক্ষতার যে ধারণা বহুলপ্রচলিত, তাতে ধর্মের প্রতি সাধারণ ভাবে একটা বিরূপতা পোষণ করা হয়ে থাকে। এই ধারায় মনে করা হয়, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কখনও কোনও ধর্মীয় ক্রিয়াকর্মকে উৎসাহ দেবে না, বা সাহায্য করবে না।
আমেরিকায় মাঝেমধ্যে এই গোত্রের ধর্মনিরপেক্ষতা অনুশীলনের চেষ্টা হয়েছে, তবে সে দেশের বেশির ভাগ মানুষের মনে ঈশ্বর এবং খ্রিস্টধর্মের আসন এতটাই পাকা যে, সেই উদ্যোগ কখনওই খুব একটা এগোতে পারেনি।
যে কোনও রকমের ধর্মীয় আচার থেকে রাষ্ট্রকে দূরে রাখতে ফরাসিরা তুলনায় অনেক বেশি সফল, কিন্তু ধর্মকে সম্পূর্ণ বর্জন করে চলার চরম ধর্মনিরপেক্ষতার লক্ষ্য সে দেশেও দূরেই থেকে গেছে।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা পরিষ্কার: ধর্মনিরপেক্ষতার এমন কোনও অর্থ কখনওই তাঁর চিন্তায় স্থান পায়নি, যা মানুষের ধর্মাচরণের স্বক্ষমতাকে অস্বীকার করবে। যাঁদের ধর্মবিশ্বাস গভীর, তাঁদের কাছে এই স্বক্ষমতা যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই কারণেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধর্ম-বিরোধিতা হিসেবে দেখবার চিন্তাধারাকে মুজিবুর রহমান বিশেষ মূল্য দেননি। ধর্মীয় আচারকে এড়িয়ে চলার বা ‘ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ার’ তাগিদে ধর্মাচরণের স্বক্ষমতাকে অস্বীকার করার কোনও প্রয়োজন তিনি বোধ করেননি।
ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ অনুসরণ অর্থে শেখ মুজিব ঠিক কী বুঝতে চেয়েছিলেন? ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকায় বাংলাদেশের আইনসভায় সে-দিনের নবীন ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের সংবিধান গ্রহণের সময় তিনি বলেছিলেন: ‘আমাদের আপত্তি শুধু ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারে।’
ধর্মাচরণের স্বক্ষমতাকে এখানে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। যাকে বর্জন করতে বলা হচ্ছে তা হল ধর্মকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা, তাকে রাজনীতির উপকরণ বানানো। এটি এক ধরনের স্বক্ষমতা-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা রাষ্ট্রকে লোকের নিজের নিজের ধর্মাচরণে হস্তক্ষেপ করতে বারণ করে।
বস্তুত, আমরা আরও এক পা এগিয়ে গিয়ে বলতে পারি: মানুষকে স্ব-ইচ্ছা অনুযায়ী ধর্মাচরণের স্বক্ষমতা ভোগ করতে সাহায্য করা উচিত, কেউ যাতে কারও ধর্মাচরণে বাধা দিতে না পারে সে জন্য যা করণীয় করা উচিত।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের ভূমিকা আছে।…শেখ মুজিব, এবং আকবর, ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি যে ভাবে পরিষ্কার করেছিলেন, তা থেকে শিক্ষা নেওয়া কেবল ভারতে নয়, অনেক দেশেই গুরুত্বপূর্ণ।
আমেরিকায় বা ইউরোপে অনুরূপ নানা বৈষম্য, যেমন জাতিগত বা নৃগোষ্ঠীগত অসাম্য বিষয়ক রাজনৈতিক আলোচনাতেও এই ধারণা প্রাসঙ্গিক। উপমহাদেশে, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার মতো দেশে সমকালীন নানা বিতর্কে ও বিক্ষোভে জড়িত বিভিন্ন প্রশ্নেও তা আলো ফেলতে পারে।” [আনন্দবাজার পত্রিকা, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১]
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের স্বাধীনতা-সংগ্রাম -বাঙালির এই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের এক মহানায়কের নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
যতই দিন যায়, ততই উজ্জ্বল ও প্রাসঙ্গিক হয়ে ধরা দেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর দর্শন আমাদের প্রেরণা জোগাতে থাকবে। শোষণহীন কল্যাণময় সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে আলো ছড়াবে তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতা।