সোয়েব ফারুকী,চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ পলিটেকনিক এলাকার এ দৃশ্য নিত্য নৈমিত্তিক লকডাউন না থাকলে এরকম কমপক্ষে ৪/৫ টি দেশের নামিদামি লোহার মিল থেকে দিন রাত থেমে থেমে ধোঁয়া বের হতে থাকে।
যা শহরের যে কোনো উঁচু বিল্ডিং এর ছাদে উঠলেও দেখা যাবে। আমার সৌভাগ্য উঁচু ছাদে বাসা নেওয়াতে আমি এ দৃশ্য দিন-রাত দেখি। তবে লকডাউনের কারণে এখন সীমিত চালু আছে৷
লকডাউন শেষ হলে সুযোগ থাকলে দয়া করে উঁচু ছাদে উঠে এ দৃশ্য একটু দেখে নিবেন আপনাদের এবং প্রজন্মের স্বার্থে। তারপর অনুধাবন করবেন আমরা লক্ষ লক্ষ নগরবাসী কোথায় ডুবে আছি।
পুরো নাসিরাবাদে এ সমস্ত লোহার মিলের চতুর্দিকে অনতিদূরে আছে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের হাজার হাজার ফ্ল্যাট এবং সাধারণ বসতি বাড়ি। এছাড়াও শতাধিক সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তো আছেই৷
প্রিয় সচেতন নগরবাসী, আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন এই দূষিত জঞ্জাল থাকবে কি থাকবে না!
দেশ স্বাধীনের আগে এবং কিছু বছর পরেও এ এলাকা শুধুই শিল্প এলাকা ছিল। আর এখন পুরোদস্তুর শহর এলাকা। আমার ছোটকালে শহর দেখেছিলাম চকবাজার থেকে আন্দরকিল্লা হয়ে টেরিবাজার, লালদিঘীর পাড়, ফিরিঙ্গিবাজার, মাঝির ঘাট, সদরঘাট পর্যন্ত।
সে হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন অনেক দূরে ছিল। আর এখন নাসিরাবাদ শিল্প এলাকা হলো শহরের পেটের ভিতর তবে আমার বিশ্বাস, আপনারা চায়লে সরকার প্রধান প্রিয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অতি দ্রুত একটি সু পদক্ষেপ নিবে পরিবেশ বিরোধী এ কারখানাগুলো ক্রমান্বয়ে সরিয়ে নিতে। এবং শহর থেকে অবশ্যই অনেক দূরে যথাযথ জায়গায়।
জনস্বার্থে, সর্বোপরি দেশ প্রেমের তাগিদে আমার এ পোস্ট। আশা করি আমাকে কেউ গুম করবে না। লকডাউনে এমনিতেই আমাদের মত আর্টিস্টদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নেই।। কষ্ট করে চলি। তবুও দেশ বাঁচার সংগ্রামে থাকতে চাই। এটাই ঈমাণি দায়িত্ব বলে মনে করি।