চট্টগ্রামের সময় ডেস্কঃ
কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। তবে আগের মতো কঠোর হবে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হবে।
সোমবার (০২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মেয়াদ হতে পারে আরও সাত দিন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানায়, করোনা পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলাপ-আলোচনার পর করণীয় নির্ধারণের বিষয় চূড়ান্ত করে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে পরবর্তীতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
তবে বিধিনিষেধ কতদিন বাড়বে বা কীভাবে শিথিল করা হবে তা মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত হবে। বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনলাইনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেবেন।
এরআগে কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা তা জানা যাবে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট)। পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৫ তারিখের পর কী হবে সেই সিদ্ধান্ত আমরা দেব। তবে লকডাউন কী পরিসরে থাকবে তা আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব। চলমান এই লকডাউন কঠোরতম ছিল সে অনুযায়ী আমাদের সবকিছুই বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন তো আর সেটি থাকছে না। এখন স্বল্প পরিসরে খোলা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের শিল্প-কারখানা খোলা হচ্ছে।
এদিকে সরকার কর্তৃক ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (০১ আগস্ট) থেকে গার্মেন্টস ও কলকারখানা খুলে দেওয়ায় ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছেন শ্রমিকরা। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ জারি করে সরকার।