করোনা কিভাবে জেলায় জেলায় গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়লো? আম,কাঁঠাল, লিচুতে নয়তো? যে হারে সারা দেশে মধুমাসের ফল পৌঁছেছে। তাতে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা তুড়িতে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়।
ফল ব্যবসায়ীদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় অবাধ বিচরণের কুফল কি সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ নয়? এর পর পরই এলো ঈদুল আযহা। রমরমা গরুর বাজার। অনেক ব্যবসায়ী বাড়তি মুনাফার লোভে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে গরু কিনেছেন।
আবার কেউ কেউ বড় শহর গুলোতে গরু নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন। কিছু মানুষ সস্তায় গরু কেনার জন্যেই জেলায় জেলায় ঘুরেছেন। সাথে যোগ হলো ঘরমূখো মানুষের ঢল। শহরের মানুষ দলে দলে ছুটলো মা-মাটির মায়ায়। কি লকডাউন আর কি নিষেধাজ্ঞা।
কে শোনে কার কথা। ফলে কেউ জানলো না ভাইরাস কি শহর থেকে গ্রামে গেল। নাকি গ্রাম থেকে সংক্রমিত হয়ে মানুষ শহরে ফিরলো। কিন্তু সংক্রমণ বহুগুণ বেড়ে গেল। যার ফলে বেড়ে গেল মৃত্যুর হার।
এমন অসচেতন জাতিকে কি প্রতিষেধক দিয়ে রক্ষা করা সম্ভব? মনে রাখতে হবে ভ্যাকসিনই সব সমস্যার সমাধান নয়। নিয়মিত স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। মাস্ক নাকের উপরেই ব্যবহার করুন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। সর্বোপরি স্রষ্টার কাছে কায়মনে ক্ষমা ভিক্ষা করুন।