চট্টগ্রামের সময় ডেস্কঃ
জাল খতিয়ান তৈরী করে কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)র তদন্তে অবশেষে ধরা পড়লেন চন্দনাইশের জাবের হোসেন নামে এক ব্যক্তি। গত ২৪ মার্চ পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণের পর গত সোমবার আদালত জাবের হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছে।
জাবের হোসেন চন্দনাইশের ৫ নং বরমা ইউনিয়নের পশ্চিম কেশুয়া গ্রামের মৃত ছালেহ আহম্মদের পুত্র।
মামলার এজাহার ও পিবিআই’র প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়,চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের পশ্চিম কেশুয়া গ্রামের মৃত ছালেহ আহম্মদের পুত্র জাবের হোসেন একই এলাকার আব্দুল গাফ্ফারের পুত্র মো. আব্দুল মান্নানের নিজস্ব সম্পত্তির জাল খতিয়ান তৈরী করে ঐ সম্পত্তি বন্ধক রাখিয়া বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক চন্দনাইশ শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে।
পরবর্তিতে ঐ টাকা সুদসহ ৫ লাখ ৬৪ হাজার ১ শত ৫২ টাকায় পৌছালে এবং জাবের হোসেন ঐ টাকা পরিশোধ না করলে ব্যাংক উক্ত সম্পত্তির পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে।
বিষয়টি জাগার মূল মালিক আব্দুল গাফ্ফারের ছেলে আবদুল মন্নানের নজরে আসলে তিনি জাবের হোসেনে বিরোদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলা আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের দায়িত্ব দিলে পিবিআই তদন্ত শেষে গত গত ২৪ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
তদন্তে আদালত জাবের হোসেনের খতিয়ান জালিয়াতি প্রমানিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গত সোমবার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন।গ্রেতারি পরোয়ানা জারির পর পুলিশ শহরের বাসায় খুজতে বাসার ঠিকানা ভূয়া প্রমানিত হয়।বর্তমানে জাবের হোসেন পলাতক আছেন।
বিষয় টি জানতে জাবের হোসেনের মুঠোফোনে বক্তব্য পাওয়া না গেলেও মামলার বাদী আব্দুল মান্নান জানান, খতিয়ান জালিয়াতির ঘটনা পিবিআই’র তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত জাবের হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছেন। আবদুল মান্নান সঠিক বিচার পাবেন বলে আশাবাদী।