চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত ২৫ মার্চ – গণহত্যা দিবসের আলোচনায় বক্তারা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় এবং দেশের সকল বধ্যভূমি যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষনের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, নতুন প্রজন্মের নিকট গণহত্যা ও এর প্রেক্ষাপট এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সহজ হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চ সকালে নগরীর জিমনেসিয়াম মাঠে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ।
মূখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ও শহিদ পরিবারের সন্তান ড. গাজী সালেহ উদ্দিন। আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন, মহানগর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ প্রমূখ।
বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেন, গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য ও এর ওপর আলোচনা অতীতে আনুষ্ঠানিকভাবে হতোনা। এখন শুরু হয়েছে। ফলে নতুন প্রজন্মের নিকট
গণহত্যা দিবসের ইতিহাস ও পাকিস্তানী বাহিনীর
নৃশংস বর্বরতার বিভিন্ন দিক উম্মোচিত হবে। এর ফলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ধারণ করে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশে পরিণত করতে আরো দৃঢ প্রতিজ্ঞ হবে।
তিনি বলেন, অতীতের মতো দুষ্টু লোক এখনো বিদ্যমান রয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধকে কলংকিত করতে চায় । এদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, শহিদ স্মৃতি বিজড়িত বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের দায় সকলের। কেউ দায় এড়াতে পারেনা। আশার কথা হচ্ছে বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দেশের সকল বধ্যভূমি অবশ্যই যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষিত হবে।
ডিআইজি আনোয়ার হোসেন তার বক্তৃায় বলেন, স্বাধীনতার পক্ষে প্রথম প্রতিরোধ ও গুলি বাংলাদেশ পুলিশ থেকে ছোঁড়া হয়েছে। পঁচিশে মার্চের কালোরাত্রিতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে অনেক পুলিশ সদস্য দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। পুলিশ আজো দেশের জন্য কাজ করছে। সকল প্রয়োজনে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের পাশে থাকবে।
পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, উদ্দেশ্যমুলকভাবে সুপরিকল্পিত উপায়ে ও নির্বিচারে নিরীহ মানষকে হত্যা করাই গণহত্যা। পাকিস্তানীরা পরিকল্পনা মাফিক ও নির্বিচারে-এ দু’ভাবেই বাঙ্গালীদের হত্যা করেছে। কোন মানুষ এভাবে নিরীহ মানুষ হত্যা করতে পারে এটা কল্পনাও করা যায়না। কিন্তু বর্বর পাকিস্তানীরা তা করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, পাকিস্তানীদের উদ্দেশ্যমূলক গণহত্যা সফল হয়নি। কারন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এছাড়া যারা গণহত্যা চালিয়েছিলো সেই পাকিস্তানী জনগণ বর্তমানে বাংলাদেশ হতে চায়। পাকিস্তানের জনগণ বাংলাদেশের এ উন্নতি দেখে অভিভূত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করছে বলে বাংলাদেশের এ অভূতপূর্ব উন্নতি সফল হয়েছে।
শেষে
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সিএস/কেসিবি/৭ঃ৫৪পিএম